Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নদী তীর থেকে ২১৪৪৩ স্থাপনা উচ্ছেদ

স্পেশাল করেসপন্ডেট
১৮ নভেম্বর ২০২১ ১৪:২৩

ঢাকা: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের নদীগুলোকে দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল হতে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগসহ দেশের বিভিন্ন নদীর তীর থেকে এ পর্যন্ত ২১ হাজার ৪৪৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৭২৩.৬২ একর তীরভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা নদীবন্দরে ১৬ হাজার ৪২৪, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে চার হাজার ৭৬৯, বরিশাল নদীবন্দরে ১৪১, আশুগঞ্জ নদীবন্দরে ৫০ এবং নওয়াপাড়া নদীবন্দরে ৫৯ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে ঢাকা-২০ আসনের সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নদী দখল রোধে দেশব্যাপী সংশ্লিষ্ট দফতর এবং সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নদীর তীরভূমি পুনঃদখল রোধকল্পে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে নদীর উভয় তীরে ওয়াকওয়ে, আরসিসি স্টেপস, বসার বেঞ্চ, বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, নদীরপাড় বাঁধাই, গাইড ওয়াল নির্মাণ, বৃক্ষরোপন ইত্যাদি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকার চারিদিকে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালু ও ধলেশ্বরী নদীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ১১০ কি.মি. বৃত্তাকার নৌপথের দুই তীরে অবস্থিত ২২০ কি.মি. তীরভূমিতে প্রথম পর্যায়ে ২০ কি.মি. ওয়াকওয়ে এবং ২ টি ইকোপার্ক (নারায়ণগঞ্জের খানপুর, পুরাতন ঢাকার শ্যামপুর) নির্মাণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুসাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৫২ কি.মি. ওয়াকওয়ে ও আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় চার হাজার সীমানা পিলার নির্মিত হয়েছে এবং ১৫০০ টি সীমানা পিলারের নির্মাণ কাজ চলমান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রামচন্দ্রপুর হতে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল থেকে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত প্রায় চার কি.মি ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়ে হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৮ কি.মি. ওয়াকওয়ের মধ্যে ২৭ কি.মি. ওয়াকওয়ের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ২১ কি.মি. ওয়াকওয়ের দরপত্র ৯ নভেম্বর তারিখে গ্রহণ করা হয়েছে। টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় ১টি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে।

তিনি বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ঢাকা শহরের চারপাশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (৩য় পর্যায় ) শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের চারপাশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে সীমানা পিলার স্থাপন করায় অবৈধ দখল হ্রাস পেয়েছে। সীমানা পিলার স্থাপন কাজ সম্পন্ন হলে অবৈধ দখল সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হবে বলে আশা করা যায়।

এছাড়াও, দেশের নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে, উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের শুকিয়ে যাওয়া মৃত প্রায় ৪৭টি নদী ড্রেজিং করে তিন হাজার কিমি. নৌ পথ খনন করে নাব্য করা হয়েছে। এছাড়া, মোট ৩৮টি ড্রেজার এবং ১৬৮টি ড্রেজার সহায়ক জলযান সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক খননকৃত মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি পুনঃখনন করে চালু করা হয়েছে। এর ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষা পাবে এবং একইসঙ্গে নৌ পথের দূরত্ব কমায় পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে। নৌ পথে নির্বিঘ্নে যান চলাচলের সুবিধার্থে নদীপথের নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছোট-বড় নদীগুলো খনন করার জন্য বর্তমান সরকার কর্তৃক একটি ড্রেজিং মাস্টারপ্লান গ্রহণ করা হয়েছে। অই মাস্টারপ্লান অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ১৭৮টি নদী খনন করে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ পথ নাব্য করা হবে। তদানুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর