Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাম্প্রদায়িক হামলায় গ্রেফতারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৪৪

ঢাকা: সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় গ্রেফতারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদ। অন্যান্য সময়ের মতো আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে যেন তারা বেরিয়ে যেতে না পারে সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর প্রায়শই ঘটে যাওয়া অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন ও সহিংসতা চিরতরে বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে এসব দাবি জানানো হয়।

সারাদেশে পূজামণ্ডপ-মন্দির এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের প্রতিক্রিয়ায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সংগঠনটির সভাপতি হারুন-অর-রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছিরসহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনটির পক্ষে বলা হয়, সম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতরা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার হয়। কিন্তু পরে আইননের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এখন (সাম্প্রতিক ঘটনায়) যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে তারা যাতে বেরিয়ে যেতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রেফতারদের এমন শাস্তি দিতে যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন ঘটন ঘটানোর সাহস না পায়।

এক প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনের নেতারা বলেন, ভারতেও যেন সংখ্যলঘু সম্প্রদায় নির্যাতিত না হয় সে ব্যাপারে তাদের সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বক্তব্য ভারতে, আগরতলায় পৌঁছাতেই একটু নির্জন অবস্থায় এই সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে।

এদিকে, সংগঠনের কয়েকজন সিনিয়র সদস্য হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তাদের উপলব্ধি ও দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত সংবাদ ও চিত্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদনের শুরুতেই ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের পক্ষ থেকে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় হতাহত-ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ১৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী পূজার দিন সকালে কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দীঘির পাড়ে দর্পণ সংঘের দুর্গাপূজা মণ্ডপে হনুমান মূর্তির উপর পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কথিত অভিযোগ এনে সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তরা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চড়াও হয়ে প্রথমে পূজা মণ্ডপ ভাংচুর করে এবং পরে দীঘির জলে প্রতিমা ফেলে দেয়। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্ত ও সুবিধাবাদীরা দিনব্যাপী কুমিল্লা শহরের আরও ৭/৮টি মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা করে এবং সন্ধ্যার মধ্যে তা চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একেএম

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর