চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিষয়ে কী পদক্ষেপ, জানতে চান হাইকোর্ট
১৮ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৫৭
ঢাকা: চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কী পদক্ষেপ নিয়েছে- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে তা দুদককে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. নওশের আলী মোল্লা।
ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। এরপর এক গ্রাহক চট্টগ্রামের মোমিন রোডের বাসিন্দা হাসান আলী এসব উল্লেখ করে ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক কাছে ‘চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ’র গুরুতর দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি প্রসঙ্গে অভিযোগ’ শীর্ষক একটি অভিযোগ দেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
রিট আবেদনে চট্টগ্রাম ওয়াসার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করা হয়। রিট আবেদনে একেএম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুদকের নিষ্ক্রিয়তা এবং পুনরায় নিয়োগের ওয়াসা বোর্ডের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদন করা হয়।
রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে, এলজিআরডি সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ড, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় পরিচালককে।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
এর ধারাবাহিকতায় রিট মামলাটি গতকাল বুধবার কার্য তালিকায় আসে। আজ (বৃহস্পতিবার) মো. নওশের আলী মোল্লা বলেন, আদালতের আদেশ মতো হলফনামা আকারে এ বিষয়ে দুদকের কার্যক্রম দাখিল করেছি। কিছু বিষয়ে অসত্যতা পেয়েছি। আর কিছু বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। যেমন টাকা পাচার করার অভিযোগসহ তার ছেলে-মেয়েদের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব থাকলে, সেসব ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের তথ্যাদি জানতে চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে তল্লাশিপত্রও পাঠানো হয়েছে।
এরপর রুল শুনানির জন্য প্রস্তুত করতে বলেছেন আদালত। রুল প্রস্তুত হলে শুনানিতে উঠবে। এরমধ্যে দুদক অনুসন্ধানের সর্বশেষ অগ্রগতি আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান আইনজীবী নওশের আলী মোল্লা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস