Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চেক ডিজঅনার হলে কী করবেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ নভেম্বর ২০২১ ১৭:১৩

ঢাকা: বর্তমান সময়ে চেকের মাধ্যমে লেনদেন বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেন, কোম্পানি কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়ে থাকে। কিন্তু চেকের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রায়শ চেক ডিজঅনার (চেক প্রত্যাখ্যাত) হতে দেখা যায়। চেক ডিজঅনার হলে কী করবেন, কোথায় যাবেন? এই সমস্যা থেকে প্রতিকারের উপায় কী? এসব বিষয়ে সারাবাংলার এ সপ্তাহের লিগ্যাল চেম্বারস অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ পর্বে আলোচনার বিষয় ছিল ‘চেক ডিজঅনার হলে আপনি কী করবেন?

প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইফফাত গিয়াস আরেফিনের পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় বৃহস্পতিবারের (১৮ নভেম্বর) সারাবাংলা লিগ্যার চেম্বারস অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফরোজা আক্তার এবং মো. আবদুল্লাহ আল শাইখ।

আইনজীবী আফরোজা আক্তার বলেন, ‘অনেক কারণেই চেক ডিজঅনার হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ সময় চেক নগদায়নের ক্ষেত্রে চেকের বিপরীতে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রথমে দেখতে হয়, সেটি হলো— ওই চেকে তারিখ লেখা আছে কিনা? যদি তারিখ লেখা থাকে তাহলে ওই তারিখের ছয় মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে কিনা? অর্থ্যাৎ চেকে লেখা তারিখ থেকে ওই চেকের মেয়াদ ছয় মাস আছে কিনা?’

তিনি আরও বলেন, ‘চেকের মূল মালিকের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে ব্যাংকে জমা দেওয়ার চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা না দিতে পারার কারণ উল্লেখ করে একটি লিখিত স্টেটমেন্ট বা রশিদ দিয়ে থাকে। ওই রশিদ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেক গ্রহিতা চেকের মূল মালিককে রেজিস্ট্রি সহকারে নোটিশ পাঠাতে হবে। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্টের-১৩৮ ধারা অনুযায়ী ওই নোটিশ পাঠাতে হবে।’

নোটিশে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করতে হবে।

https://www.facebook.com/Sarabangla.net/videos/406839937773042

এ ছাড়া চেকের মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয়ে গেলে পেনাল কোডের ৪২০ ধারায় প্রতারণার মামলা করা যাবে। চেকের মূল মালিক মারা গেলে মামলা করা যাবে না। তবে চেক গ্রহীতা মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীগণ মামলা করতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল শাইখ বলেন, ‘চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর চেক গ্রহীতাকে চেকের মূল মালিকের কাছে নোটিশ পাঠাতে হবে। ওই নোটিশে চেকের মালিকের সর্বশেষ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। কোনো কারণে ঠিকানা না পেলে জাতীয় পত্রিকায় নোটিশ প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। পরে সেই বিজ্ঞপ্তির কপি সংযুক্ত করে আদালতে মামলা করা যাবে।’

চেকের মামলায় কী শাস্তি হতে পারে: আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল শাইখ বলেন, ‘চেকের মামলায় জরিমানা কিংবা জেল হতে পারে। এবং জেল ও জরিমানা দুটোই হতে পারে। চেকের মামলায় দণ্ডিত ব্যক্তি (যিনি চেকের মূল মালিক) চেকে যে পরিমাণ টাকার কথা উল্লেখ থাকে এর সর্বোচ্চ তিনগুণ জরিমানা অথবা এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।’

মামলা করতে হলে যেসব কাগজপত্র থাকতে হবে: যে চেকটি ডিজঅনার হয়েছে সেটি। এবং চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ব্যাংক থেকে দেওয়া রশিদ। চেকের মালিককে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের কপি এবং রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো ডাক রশিদের কপি। চেকের মালিকের নাম পরিচয় (ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান) সম্পর্কে তথ্য থাকতে হবে।

যখন মামলা করা যাবে: লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর ৩০ দিন পর থেকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে আদালতে (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত) মামলা দায়ের করতে হবে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

আদালত চেক ডিজঅনার মামলা লিগ্যাল চেম্বার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর