ফিরেছে প্রাণ, মুখরিত নোবিপ্রবির ‘শান্তিনিকেতন’
১৯ নভেম্বর ২০২১ ১৭:১৯
নোবিপ্রবি: কেটেছে নীরবতা, ফিরেছে প্রাণ। একরাশ আনন্দ, খুশি, আড্ডা, গান চারপাশে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে অবস্থিত ‘শান্তিনিকেতন’ হয়ে উঠেছে মুখরিত।
চারটি ছোট্ট দোকান, চারপাশে ছড়িয়ে থাকা কাঠের বেঞ্চ, সারি সারি গাছের ছায়ায় গড়ে উঠেছে এই শান্তিনিকেতন। গরম চায়ের কাপে গল্পে, আড্ডায় গানে এলাকা হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত। শীতের আগমনে বাহারি পোশাকের সাজে পেয়েছে ভিন্নমাত্রা।
ক্যাম্পাসে শীতের সকালের কুয়াশাঘেরা নিস্তব্ধ প্রকৃতি, বৃষ্টিমুখর দিন, শরতে কাশফুলের প্রাচুর্য উপভোগের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র এই শান্তিনিকেতন।
শিক্ষার্থীদের নানা গল্প, স্মৃতির সাক্ষী এই শান্তিনিকেতন। কেউ এসে বসছে সারাদিনের ক্লান্তি তাড়াতে, করছে বন্ধুদের সঙ্গে অজানা নানান গল্প। কারও হাতে গিটার, গানের সুরে মেতে উঠছে চারপাশ। গ্রুপে গ্রুপে চলছে ভিন্ন গান।
জানা যায়, করোনা মহামারিতে ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর খুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল। ক্লাস শুরুর তারিখও নির্ধারণ হয়েছে। ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের কাছে পেয়ে জমে থাকা গল্পের ভাণ্ডার খুলে মেতে উঠছে সবাই। সবার মুখে আনন্দের ছাপ, উচ্ছ্বাস।
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান লোমান বলেন, ‘নোবিপ্রবির শান্তিনিকেতন মানেই ভালোলাগার জায়গা, মন প্রফুল্ল করার জায়গা। লোকে লোকারণ্য জায়গাটি প্রায় জনমানবহীন মরুভূমি হয়ে গিয়েছিলো। দীর্ঘ ৬২১ দিন পর খুলবে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস, সেই নোটিশে আবারও যেনো প্রাণ ফিরে আসছে চিরচেনা এই শান্তিনিকেতনে।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম ইবনে মাহবুব বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাস তার চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করছে। আমার কাছে শান্তিনিকেতন এক অন্যরকম স্বস্তির জায়গা।এখানে বন্ধুদের সঙ্গে দেওয়া আড্ডা, গল্প, গান জোগায় অন্যরকম এক অনুভূতি। দীর্ঘদিন পর এমন আড্ডাচিত্র চারপাশকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।’
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী এইচ এম মোবাশ্বর বলেন, ‘দীর্ঘ ১৯ মাস পর ক্যাম্পাস এভাবে আগের মত শিক্ষার্থীদের পদচারণা দেখে অন্যরকম একটা শান্তি কাজ করছে। শান্তিনিকেতনে চায়ের কাপের টুং টাং শব্দ, ছোট ছোট ভিন্ন ভিন্ন গোল মিটিং আর ভেসে আসা দল বেঁধে গলা ছেড়ে গাওয়া গানের সুর আমায় বরাবর মতই মুগ্ধ করেছে। শান্তিনিকেতনসহ পুরো ক্যাম্পাস ফিরুক আবার আগের রূপে। মুখরিত হোক শিক্ষার্থীদের পদচারণায় এটাই চাওয়া।’
সারাবাংলা/এমও