সর্বাত্মক লকডাউনে অস্ট্রিয়া; ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক ঘোষণা
১৯ নভেম্বর ২০২১ ২২:৩১
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ মোকাবিলায় সর্বাত্মক লকডাউনে যাওয়ার পাশাপাশি নাগরিকদের সবার জন্য ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে অস্ট্রিয়া। ইন্দোনেশিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, তুর্কমেনিস্তানের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে তারা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে চরম অবস্থানের কথা জানালো।
এর আগে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ার ভ্যাকসিন না নেওয়া ২০ লাখ মানুষকে লকডাউনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু, তাতে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় সোমবার থেকে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ এসব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানান।
এদিকে, লকডাউন সর্বোচ্চ ২০ দিন স্থায়ী হবে আর ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলকের ঘোষণা কার্যকর হবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে।
জার্মানি, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে, গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় সোমবার থেকে ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের ওপর লকডাউন জারি করা হয়েছে। জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্রও একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে। বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, অস্ট্রিয়ার সাম্প্রতিক এই সংকটের জন্য ভ্যাকসিনবিরোধীদের দায়ী করছেন চ্যান্সেলর। তাদের অপপ্রচারের কারণেই অনেক নাগরিক ভ্যাকসিন নেননি। যে কারণে হাসপাতালগুলো ভরে গেছে এবং মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রিয়ার ৬৬ শতাংশ নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছেন, যা ইউরোপের সর্বনিম্ন হারগুলোর মধ্যে একটি। তবে, জনসংখ্যার অনুপাতে অস্ট্রিয়ায় সংক্রমণের হার এ মুহূর্তে ইউরোপে সর্বোচ্চ।
সারাবাংলা/একেএম