খালেদার মুক্তির দাবিতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানববন্ধন
২১ নভেম্বর ২০২১ ১৩:১২
ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের বাইরে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানববন্ধন করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
রোববার (২১) সকালে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণ বাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার, বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যখন বলেন, ‘‘বাসায় থাকতে দিয়েছি, আবার বিদেশে চিকিৎসা’’ তখন আর এই কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, আজকে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা–অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার দেশের বাইরে চিকিৎসা পাওয়া না পাওয়া। আজ ম্যাডামের বিচার যদি সঠিক প্রক্রিয়ায় হতো, তাহলে অনেক আগেই তিনি বিদেশে যেতে পারতেন চিকিৎসার জন্য। দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই তিনি আজ চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’
জিএম সিরাজ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখন জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অথচ এখনো ডাক্তারদের কথা উপেক্ষা করা হচ্ছে, পরিবারের কথা উপেক্ষা করা হচ্ছে, দলের কথা উপেক্ষা করা হচ্ছে। আইনমন্ত্রী পাগলের প্রলাপ বকছেন। তিনি বলছেন ডাক্তার নিয়ে আসতে। গ্লোবালাইজেশনে ডাক্তার তো সমস্যা না। সমস্যাটা হচ্ছে ইকুইপমেন্টে। বাংলাদেশে সেই চিকিৎসা সরঞ্জাম কোথায়? আজকে ম্যাডামের লিভার নাই। লিভারে প্রচণ্ড সমস্যা। লিভারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মেডিসিনে কিছু হবে না। সার্জারি লাগবে। সার্জারি আমাদের এখানে নাই।’
গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এবছর এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত টানা ৫৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছর ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। তখন থেকে তিনি গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজা’য় রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছে তার পরিবার। কিন্তু সরকার সেই আবেদন আমলে নেয়নি। এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য হলো- সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে। বিদেশে যেতে হলে কারাগারে ফিরে আবেদন করতে হবে।
সারাবাংলা/এজেড/এনএস