Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যখনই প্রয়োজন তখনই আসামি গ্রেফতার করা হবে: দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৩২

ঢাকা: যখনই প্রয়োজন তখনই আসামি গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, দুদক অযথা কাউকে হয়রানি করতে চায় না। দুদক কাজ করছে— এটি দেখানোর জন্য যদি কাউকে গ্রেফতার করতে হয়, সেটি কাঙ্ক্ষিত হবে না। যখনই গ্রেফতার করার প্রয়োজন হবে, তখনই যেকোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হবে।

রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

দুর্নীতিতে জড়িয়ে না পড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের প্রতি একটাই বার্তা থাকবে— দুর্নীতি করবেন না, দুর্নীতি যারা করে তাদের বর্জন করবেন। তাদের ঘৃণা করেন। আমরা নিজেরাই নিজেদের জিজ্ঞাসা করি— আমি দুর্নীতিমুক্ত কি না। দুর্নীতির টাকা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে খাওয়াবেন না।

মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ আরও বলেন, তোমরা (শিশু) দুর্নীতিবাজ পিতার সন্তান হয়ে থাকবে কি না, চিন্তা করে দেখো। স্ত্রীদের বলব, আপনারা দুর্নীতিবাজ স্বামীর অর্থে চলবেন কি না, চিন্তা করে দেখবেন। আর যারা চাকরি করছেন, তাদের বলব— আপনারা দুর্নীতিবাজ নিয়োগদাতার চাকরি করবেন কি না, ভাবুন। জনশ্রুতি আছে— এমন দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির বিষয়ে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি এরই মধ্যে দু’টি সভা করেছে। আমরা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করছি। খুব শিগগিরই বিষয়টি শনাক্ত করব। দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে ছোট-বড় বিষয় নেই, সবগুলো সমান চোখে দেখি।

বেসিক ব্যাংকের মামলা অনন্তকাল ধরে চলবে কি না— সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, অনন্তকাল কোনো কিছুই চলতে পারে না। অবশ্যই এর পরিসমাপ্তি হবে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত শেষ করার জন্য।

মানি লন্ডারিং ইস্যুতে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মানি লন্ডারিং নিয়ে দুদককে দোষ দিয়ে লাভ নেই। দুদকের এ বিষয়ে কিছু করার নেই। সামান্য কিছু বিষয় রয়েছে দুদকের কাছে রয়েছে। এটা আপনাদের বলতে হবে, মানি লন্ডারিংয়ের বড় অংশ সরকার আইন করে দুদকের কাছ থেকে নিয়ে গেছে। বেসরকারি পর্যায়ে হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং হয়। দুদকের কি করার আছে? কিছু করার নেই।

অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক, দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান ও দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে দুদক বিটের সংগঠন র‌্যাকের পক্ষ থেকে সেরা রিপোর্টার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কাওসার সোহেলি, যুগান্তরের সিরাজুল ইসলাম ও বাংলা ট্রিবিউনের নুরুজ্জামান লাবু সেরা রিপোর্টার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

দুদক দুদক চেয়ারম্যান দুদকের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দুর্নীতি দমন কমিশন মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর