পুলিশের অপরাধ তদন্তে স্বাধীন কমিশন চেয়ে রিটের রায় রোববার
২৩ নভেম্বর ২০২১ ১৫:২০
ঢাকা: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের তদন্ত করার জন্য স্বাধীন ‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার (২৮ নভেম্বর) রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আাইনজীবী শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ১০২ জন আইনজীবীর পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিটটি দায়ের করেন।
রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপিকে) বিবাদী করা হয়।
রিটে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, আইনের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠনের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
এর আগে রিটের শুনানির পর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, রিটে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর দুর্বলতা এবং অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের অভাবকে এর প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনজীবী শিশির আরও মনির বলেন, ‘তদন্ত’ হলো বিচারের প্রাথমিক ধাপ। ন্যায়বিচারের জন্য প্রধান শর্ত হলো সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত। সুষ্ঠু তদন্ত সংবিধানের ৩৫(৩) ও ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। বর্তমান আইনি কাঠামোতে পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তভার পুলিশের ওপরই ন্যস্ত। ফলে তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে ২০০৭ সালে ‘পুলিশ অধ্যাদেশ’ নামে একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছিল। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের ৭১ দফায় ‘পুলিশ কমপ্লেইন কমিশন’ গঠনের বিধান প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সেই খসড়া অধ্যাদেশ আজও আইনে পরিণত হয়নি।
এর আগে গত বছর এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হয় বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম