দুই মামলায় জামিন পাননি ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানী
২৩ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৫১
ঢাকা: গাজীপুরের বাসন থানা ও ঢাকার তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা দুই মামলায় ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মাদানীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা।
রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোণার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
এর মধ্যে গত ১১ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। একই অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এর মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়ময়সিংহের কোতয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের এক মামলায় জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
‘শিশু বক্তা’ নামে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলো উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি নেত্রকোনার একটি মাদ্রাসা থেকে কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে কয়েক বছর পড়াশোনা শেষে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি মাদ্রাসায় চলে আসেন। পরে সেখান থেকে ঢাকার বারিধারার জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমানের) ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি নামের শেষে ‘মাদানী’ টাইটেল যুক্ত করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস