জাল সনদে এনআইডি, গ্রেফতার ৩
২৩ নভেম্বর ২০২১ ২০:১১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) তৈরি করে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার তিনজন একটি চক্রের সদস্য। তারা এনআইডি তৈরির জন্য ভুয়া জাতীয়তা ও জন্ম নিবন্ধন সনদ সরবরাহ করে। এ প্রক্রিয়ায় তারা কোনো রোহিঙ্গাকে এনআইডি পাইয়ে দিয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নগরীর লাভ লেইনে চট্টগ্রামের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গতকাল সোমবার (২২ নভেম্বর) দু’জনকে ধরে কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন কর্মকর্তারা। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার অলঙ্কার মোড় থেকে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- ইমতিয়াজ মাহমুদ (২৮), মো. নূর হোসেন (৪৫) ও জহির উদ্দিন মামুন (৩৫)। এদের মধ্যে জহির উদ্দিনকে অলঙ্কার মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল সোমবার বিকেলে ইমতিয়াজ ও নুর হোসেন কয়েকজন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ও নিবন্ধনের আবেদন জমা দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে। তথ্য ফরমের সঙ্গে জমা দেওয়া জাতীয়তা সনদ, জন্ম সনদ এবং বিদ্যালয়ের প্রত্যয়ন পত্র দেখে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। এসময় তাদের আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে জহিরকে গ্রেফতার করা হয়।’
তিনজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিমুল চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রেফতার ইমতিয়াজ ও নূর হোসেনের কাছ থেকে তিন সেট নিবন্ধন ফরম ও জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদনের ছয়টি সেট পাওয়া পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত করা জাতীয়তা সনদ, জন্ম সনদ ও বিদ্যালয়ের প্রত্যয়নপত্রের অনুলিপিগুলো জাল হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। নিজেরা এসব জাল সনদ তৈরি করে আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে বলে স্বীকার করেছে।
ওসি নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘গ্রেফতার তিনজন একটি চক্রের সদস্যরা। এই চক্র ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয় পত্র পাইয়ে দেয়। সাধারণ লোকজন নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে এই চক্রের শরণাপন্ন হয়। যাদের নামে এনআইডি নিবন্ধন ও সংশোধনের আবেদন করা হয়েছে এবং আগে যাদের পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা কেউ আছে কি না সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
সারাবাংলা/আরডি/এনএস