ঢাকার দুই সিটির ৪৫ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষ পেলেন ভ্যাকসিন
২৪ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৫৪
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডে নিম্ন আয়ের মানুষদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) থেকে। প্রথম দিন রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০৮ জন। নিম্ন আয়ের মানুষদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের এই কর্মসূচি চলবে ২৪ ও ২৫ নভেম্বরেও।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ভ্যাকসিন নিয়েছে ১৯ হাজার ১৪২ জন। এই সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের ৫৫টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। একই দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। মোট ৭৫টি কেন্দ্রে ডিএসসিসি এলাকায় ভ্যাকসিন পেয়েছে ২৬ হাজার ১৬৬ জন।
এ দিন সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রস্তুতকৃত কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। আজ বুধবার এবং পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে এ ভ্যাকসিনদান কর্মসূচি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা একটি করে কেন্দ্রে ৫০০ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তিন দিনে প্রতি ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন পাবে এক হাজার ৫০০ নাগরিক। প্রথম ডোজ নেওয়ার দুই মাস পর একই কেন্দ্র মিলবে দ্বিতীয় ডোজ।
সোমবার (২২ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক সারাবাংলাকে বলেন, আমরা গত ১৬ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর কড়াইল বস্তির নিম্ন আয়ের মানুষদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করি। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, পরবর্তীতে ঢাকা শহরের দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে যত নিম্ন আয়ের মানুষ আছে তাদের সবাইকে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আনব। সেইভাবে আমরা ১৯ নভেম্বর একটা ঘোষণা দিয়েছিলাম।
আমরা জানিয়েছিলাম মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য।
তিনি জানান, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের জোন ভাগ করে এ কার্যক্রম আয়োজন করছে। ওয়ার্ডভিত্তিক একটি করে কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশনে ১২৯টি জোন রয়েছে। এসব জোনের কর্মকর্তা তাদের এলাকার বস্তিতে কার্যক্রম শুরু করবেন। ঢাকার সব বড় বস্তিতে এ কার্যক্রম চলবে। যদি কোনো ছোট বস্তি বাদ পড়ে যায় তাহলে ধীরে ধীরে ছোট বস্তিগুলোকেও ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ