Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিসেম্বরে ভারত থেকে ভ্যাকসিন আসবে: সালমান এফ রহমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ নভেম্বর ২০২১ ০৯:১৮

সালমান এফ রহমান, ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আগামী মাস থেকে ভারত থেকে আবার ভ্যাকসিন আসা শুরু করবে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে ভারত থেকে সব ভ্যাকসিন চলে আসবে।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

সালমান এফ রহমান বলেন, ভারত থেকে আমরা সর্বপ্রথম সবচেয়ে কম দামে ভ্যাকসিন আমদানি করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগের ফলে বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে আমরা দ্রুত ভ্যাকসিন পেয়েছি।

তিনি বলেন, ভারত ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করার আগেই আমরা অগ্রিম টাকা দিয়েছি। এটি আমাদের জন্য ঝুঁকি ছিল। তাদের দেশে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলে ভ্যাকসিন পেতে দেরি হয়। তবে আগামী মাসে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি আছে সেটির আরেকটি চালান পাওয়া যাবে। আর আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে চুক্তির সব ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশা করি।

তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির বর্তমান অবস্থায় আগামী এক থেকে দুই বছর ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরও এখনো করোনা ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ফলে আলোচনায় আসছে বুস্টার ডোজ দেওয়ার। সে বিষয়টিও আলোচনায় আছে।

দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ২০২২ সাল থেকে দেশেই করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করবো। বাংলাদেশের ইনসেপ্টা চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে। ইনসেপ্টার কাছে চায়না যে বিশেষ ধরনের ভ্যাকসিন বানায় সেটি তাদের বানানোর সক্ষমতা আছে। তাদের সঙ্গে চীনের টার্ম অ্যান্ড কন্ডিশন চূড়ান্ত হলেই ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বেক্সিমকোও ভ্যাকসিন উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে। আশা করি আগামী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে আমরাও ভ্যাকসিন উৎপাদনের কার্যক্রম শেষ করতে পারবো। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ছাড়াও ফাইজার, মডার্নাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বেসরকারিভাবে ইনসেপ্টা ও বেক্সিমকো কাজ করলেও আরও কয়েকটি কোম্পানি ভ্যাকসিন উৎপাদন নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে আন্তরিক। তিনিও চান দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন হোক। এজন্য যে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালমান ফজলুর রহমান বলেন, জ্বালানি তেলের দামের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন। তবে আমার মনে হয় এটি কমে আসবে। দাম কমে আগের পর্যায়ে না গেলেও এটি কমবে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যে পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে তা কিন্তু নয়। বরং শিপিংয়ের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। শিপিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কন্টেইনারের পরিবহনেও খরচ বেড়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। এখানে যে লেনদেন হয় তার ৮০ শতাংশ আসে রিটেল বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। বাকি ২০ শতাংশ আসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের তুলনায় বাংলাদেশের চিত্র পুরো উল্টো। আমাদের পুঁজিবাজার ইক্যুইটিভিত্তিক। এখানে বন্ড মার্কেট নেই। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। বর্তমান চেয়ারম্যান ও কমিশনারও এই বিষয়ে আন্তরিক। আশা করা যায়, বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় হলে পুঁজিবাজার চাঙা হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে পত্রিকা পড়া ছাড়া কোনও খবরটি ছড়িয়ে পড়তো না। কিন্তু অনলাইনে সেই সুযোগটি তৈরি করে দিয়েছে। যার ফলে সাংবাদিকদের এখন অনেক দায়িত্ব।

বিজ্ঞাপন

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানসহ অন্যান্যরা।

সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ

সালমান এফ রহমান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর