৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি মনপুরার স্কুলছাত্রী সানজিদা
২৪ নভেম্বর ২০২১ ১৯:২০
ভোলা: ভোলার মনপুরায় স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়েছেন সানজিদা খাতুন (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী। নিখোঁজের চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তার সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় মনপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। থানা পুলিশ বলছে, ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ এ বিষয়ে সারাবাংলাকে বলেন, ‘সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় আমরা অভিযান চালিয়েছি। পুলিশ আন্তরিক ভূমিকা রাখছে। আশা করি ওই স্কুলছাত্রীকে খুব শিগগিরই আমরা উদ্ধার করতে পারব।’
সানজিদা নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মনপুরা থানায় জিডি করা হয়েছে। ২১ নভেম্বর করা জিডির নম্বর: ৫৮৯।
ভোলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অবগত। কী কারণে, কীভাবে ওই স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে তা জানার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
সানজিদার পরিবার এ ঘটনায় সন্দেহ করছেন দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা গ্রামের মো. আলাউদ্দিনকে।
সানজিদার ভাই কিরণ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আলাউদ্দিন আমার বোনকে অপহরণ করেছে। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা চেয়েছিলাম। ছেলের পরিবার থেকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সানজিদাকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’
কিরণ বলেন, ‘আমরা মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছি। আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে আরও কয়েকজন সহযোগীর নামে এ মামলা করব।’
তবে আলাউদ্দিনের সঙ্গে সানজিদার পরিচয় কীভাবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তার ভাই কিরণ।
পরিবারের দাবি— কিছুদিন ধরে আলাউদ্দিন নামে একটি ছেলে সানজিদাকে উত্ত্যক্ত করত। সানজিদা সাকুচিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২১ শে নভেম্বর প্রাইভেট পড়ে বাসা ফেরার পথে আলাউদ্দিনসহ কয়েকজনে সানজিদাকে অপহরণ করে। অপহরণের খবর পেয়ে সানজিদার বাবা ও মা আলাউদ্দিনের খবর নিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হন।
এদিকে মনপুরা থানার ওসির সহায়তায় দৌলৎখান থানা থেকে আলাউদ্দিনের বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে আলাউদ্দিনের বাড়িতে গেলে তাদের বাড়িঘর তালাবদ্ধ দেখা যায়। আলাউদ্দিন কিংবা তার বাবা-মায়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সানজিদার ভাই কিরণ বলেন, ‘আলাউদ্দিনের পরিবারের সবাই পালিয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব নিলেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
সানজিদা অপহরণ বিষয়ে চরখলিফা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমি চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি উভয়পক্ষকে বসার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু কেউই বসেনি। তাই সমাধান করা যায়নি।’
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন সাক্ষ্য দিয়েছে যে, আলাউদ্দিন ওই মেয়েকে নিয়ে গেছে। এটি প্রেমঘটিত বিষয় বলে জানতে পেরেছি।’
সারাবাংলা/একে