দুর্ঘটনার ঝুঁকি, তবু শেষ হচ্ছে না শেকৃবির পুকুর সংস্কারের কাজ
২৬ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৫৩
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কেন্দ্রীয় পুকুর পাড়ের গাইড ওয়াল, পায়ে হাঁটা পথ ও প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে সেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির প্রথম দিকে। এর মধ্যে গাইড ওয়াল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শুরু হলেও আটকে গেছে মাঝ পথে। এতে গাইড ওয়াল থেকে রডগুলো বিপজ্জনকভাবে বেরিয়ে এসেছে। তাতে শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই নির্মাণকাজ শেষ করার তাড়া নেই শেকৃবি কর্তৃপক্ষের। বরং কাজটি শেষ হতে আরও মাস ছয়েক সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনা মহামারি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পুকুর পাড় সংরক্ষণে গাইড ওয়াল ও ওয়াকওয়ে নির্মাণে কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গাইড ওয়াল নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বাজেট ঘাটতিজনিত কারণে শুরু হয়েও আটকে গেছে ওয়াকওয়ে ও ফেন্সিং নির্মাণের কাজ। গত কয়েক মাস ধরেই কাজটি আটকে আছে। তাতে গাইডওয়াল থেকে বেরিয়ে এসেছে রড। সেভাবেই রডগুলো অরক্ষিত অবস্থায় থেকে গেছে। তাতে যেকোনো সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার প্রকোপের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। ওই সময় ক্যাম্পাসে ছিলেন না শিক্ষার্থীরা। ফলে অসম্পূর্ণ নির্মাণ কাজেও কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা চলে আসায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকছেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল ও ক্লাস শুরু হওয়ার দুই মাস হয়ে গেলেও প্রশাসনের এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা অংশের বাসিন্দাদের পরিবারে ছোট সন্তানাদিও কম নেই। গাইড ওয়াল থেকে বেরিয়ে আসা রড এবং এর সঙ্গে পুকুর পাড়ে বেড়া না থাকার বিষয়টি তাদের জন্যও ঝুঁকির কারণে। সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত অভিভাবকরাও।
শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় যখন দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল, সেই সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্মাণকাজটি শেষ করে ফেলতে পারত। তাহলে আর ঝুঁকি থাকত না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সোহেল আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষার্থীরা পুকুরের ওদিকটায় গিয়ে গল্প করে, একটু সময় কাটায়। কিন্তু পুকুর পাড়ের রডগুলো এমন অবস্থায় আছে যে শিক্ষার্থীরা যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এখন কাজ বন্ধ থাকলেও আপাতত রডগুলো বাঁকা করে দিয়েও দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, খাতভিত্তিক বাজেটে কিছু ঘাটতি থাকায় কাজটি স্থগিত রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় আমরা উপাচার্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি জুন মাসের মধ্যেই পুকুর পাড়ের ওয়াকওয়ে ও ফেন্সিংয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
সারাবাংলা/টিআর