নির্বাচিত চেয়ারম্যানের ট্রলারে গুলি, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নিহত
২৬ নভেম্বর ২০২১ ২০:৩৮
ভোলা: দৌলতখান উপজেলার বিচ্ছিন্ন মদনপুর চরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. খোরসেদ আলম টিটু (৩২) নামে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত খোরশেদ আলম উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইনগর গ্রামের তছির আহমেদের ছেলে এবং ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ধনিয়া নাছির মাঝি ঘাটসংলগ্ন মেঘনা নদীতে ভাসমান ট্রলারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হেলাল মাস্টার ও নিহতের চাচাতো ভাই মো. জিসান জানান, শুক্রবার সকালে দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু তার কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য মদনপুরে যান। তার সঙ্গে ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলমও মদনপুরে যায়।
দুপুরে খাবার খেয়ে মদনপুর থেকে চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নুসহ যাত্রীবাহী ট্রলারে করে ভোলায় আসছিলেন। ট্রলারটি ভোলা সদর উপজেলার নাঝির মাঝি ঘাটের কাছাকাছি এলে পেছন দিক থেকে একটি স্পিডবোটে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় ট্রলারের মাঝি ট্রলারটি জোরে চালিয়ে স্পিডবোটকে ধাক্কা দিলে বোটটি উল্টে যায়।
এ অবস্থায় সন্ত্রাসীরা নদী পড়ে গিয়ে পানির মধ্য থেকে ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। এতে ট্রলারে থাকা খোরশেদ আলম টিটুর মাথায় গুলি লাগলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে ট্রলারটি ঘাটে এলে আহত খোরশেদ আলম টিটুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পরিবারের দাবি মদনপুর ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন সকেট তার ভাগ্নে নিরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিজয়ী প্রার্থী নাছির উদ্দিন নান্নুকে হত্যার উদ্দেশে এ হামলা করেছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের লাশ মায়নাতদন্তের জন্যে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যে স্পিড বোট ব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়েছে সে বোটটি জব্দ করা হয়েছে। অচিরেই হামলাকারীদের চিহ্নিত কারে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নাছির উদ্দিন নান্নু বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন সকেট।
সারাবাংলা/এমও