সংসদে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ পাস
২৭ নভেম্বর ২০২১ ১৯:০৭
ঢাকা: উপনিবেশিক আমলের আইন বাতিল করে ডিজিটাল লেনদেনের নথি ও দলিল ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ পাস হয়েছে সংসদে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে, বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠান এবং সংশোধনী প্রস্তাাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। গত ১৪ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, আইনে বর্ণিত কারণ ছাড়া কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করলে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। এ আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আদালতের সম্মতিতে আপসযোগ্য হবে বলে বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, সাব-ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার নিচে কোনো পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত প্রতিবেদন ছাড়া আদালত এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করবে না। তথ্য প্রকাশের অনুমোদিত ক্ষেত্র এবং আদালতের এখতিয়ার সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে বিলে।
বিলটি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান বিশ্বায়নের যুগে দ্রুতগতিতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের উন্নয়নের ফলে আইসিটিভিত্তিক ব্যাংকিং এখন অপরিহার্য। অনলাইন ব্যাংকিংসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্যাদি ইলেকট্রনিক ডাটা ডিভাইসে সফট কপি হিসাবেও সংরক্ষিত হচ্ছে। ফলে ‘ব্যাংকারস’ বুকস এভিডেন্স অ্যাক্ট-১৮৯১-এর পরিবর্তে আইনটি সময়োপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৮৯১ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে। ব্যাংকের লেজার বুক, ক্যাশ বুক এগুলোকে সাক্ষ্য বই বলা হয়। বিলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেসব রেকর্ড হবে সেগুলোও ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে আইনে বিবেচিত হবে। ব্যাংকগুলোর লেজার বুক, ক্যাশ বুক, লোন ডেসপাস বুক যা আছে- সবই এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম