সড়কে বিতণ্ডার পর ‘অসুস্থ হয়ে’ বাসচালকের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ
২৭ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৪৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে মাইক্রোবাসের একদল যাত্রীর সঙ্গে বিতণ্ডা ও হাতাহাতির পর ‘অসুস্থ হয়ে’ আরেক বাস চালকের মৃত্যু হয়েছে। ওই বাস চালককে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে শনিবার (২৭ নভেম্বর) সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পরিবহন শ্রমিকরা।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বাস চালকের মৃত্যু হয়। এর আগে, সন্ধ্যায় নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আমিন জুট মিল এক নম্বর গেইট এলাকায় মাইক্রোবাসের যাত্রী ও বাস চালকের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
মৃত আবদুর রহিমের (৪৫) বাড়ি রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের আতুরনীর ঘাটা এলাকায়। তিনি নগরীর নিউমার্কেট-হাটহাজারী রুটের দ্রুতযান বাস সার্ভিসের চালক ছিলেন।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘মাইক্রোবাসকে সাইড না দেওয়ায় এর যাত্রীদের সঙ্গে বাসের চালক ও হেলপারের ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষে হাতাহাতি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। ঘটনা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। চালক বাস নিয়ে নগরীর রাহাত্তাপুল এলাকায় চলে আসেন। সেখানে অসুস্থ অনুভব করায় রাত ১২টার দিকে তাকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতের দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে বাসচালকের মৃত্যুর জেরে শনিবার ভোর থেকে হাটহাজারী বাস স্টেশনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নেওয়ায় হাটহাজারী, রাউজান সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যান হাটহাজারী পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসাইন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। তারা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে যান। তবে শ্রমিকরা গণপরিবহন চালানো বন্ধ রাখেন। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
ওসি কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, চমেক হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর ভোরে বাসচালক আব্দুর রহিমের লাশ রাউজানে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষোভ করায় পুলিশ রাউজান থেকে লাশ আবারও চমেক হাসপাতালে ফেরত আনে। মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্ত হচ্ছে।
এছাড়া প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও মাইক্রোবাসের যাত্রীদের শনাক্তে আমিন জুট মিল এলাকায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় পরিবহন শ্রমিক অথবা মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেননি বলেও ওসি কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমও