করোনার নতুন আতঙ্ক শক্তিশালী ওমিক্রন, সতর্ক বাংলাদেশ
২৮ নভেম্বর ২০২১ ১১:৩০
ঢাকা: বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের হার প্রায় দুই মাসের অধিক সময় দুই শতাংশের নিচে। এমন অবস্থায় নতুনভাবে শঙ্কা জাগাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন রূপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯-এর এই নতুন রূপের নাম দিয়েছে ওমিক্রন (বি.১.১.৫২৯)। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি বার জিন বদলানো সংস্করণ বলা হচ্ছে ওমিক্রনকে। আর তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যেই এই রূপ বা ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বতসোয়ানা, ইসরায়েল, বেলজিয়াম ও হংকংয়ের ১০৪টি নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আর তাই এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক অবস্থা নেওয়া হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য। একইসঙ্গে ওই দেশগুলো থেকে আসা ভ্রমণকারীদেরও কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো এবং সুইজারল্যান্ডও দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু দেশ থেকে সাময়িকভাবে ফ্লাইট বন্ধ করেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও সতর্কতার অংশ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে নানা ব্যবস্থা।
এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। তাই ইতোমধ্যেই সতর্কতা হিসেবে আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একইসঙ্গে দেশের সব বিমান ও স্থলবন্দর ও অন্যান্য প্রবেশপথে স্ক্রিনিং বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন কোনো মহামারি ছড়িয়ে পড়ে তখন সেটির রূপ বদল হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয় সবসময়ই। আর তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ভ্যাকসিনের কার্যকারিতায় কোনো প্রভাব ফেলবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে গবেষণা ফলাফল হয়তো খুব দ্রুতই জানা যাবে।
ওমিক্রন কী?
সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি উপস্থিতি অণুবিদ্যায় থাকলেও রূপভেদে এটি প্রধানত চার প্রকারের ছিল। এদের প্রত্যেকের নাম গ্রিক বর্ণমালার অক্ষর দিয়ে। লামডা, আলফা, বিটা এবং গামা। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে যখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনাভাইরাস, সেই সময় জিনগত পরিবর্তনের (মিউটেশন) মাধ্যমে রূপে ও চরিত্রে বদল আনতে শুরু করল। কোনোটি রূপ উদ্বেগের (ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন) হয়ে উঠল, কোনোটি আবার কেবল ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হয়ে রয়ে গেল। নতুন এই প্রজাতিগুলোর মধ্যে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ডেল্টা ও ডেল্টার কিছু উপপ্রজাতি (ডেল্টা প্লাস)।
দক্ষিণ আফ্রিকাতে সদ্য আবিষ্কার হওয়া সার্স-কোভ-২ (করোনাভাইরাসের)-এর একটি ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতি ‘ওমিক্রন’। মাইক্রোবায়োলজির নমেনক্লেচারে কোভিড-১৯ ভাইরাসের আলফা এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতোই গ্রিক কোড-নামের প্যাটার্ন অনুসরণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করেছে ওমিক্রন।
ওমিক্রন কেন শঙ্কা বাড়াচ্ছে?
একদিকে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা আর অন্যদিকে এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে ভ্যাকসিনের প্রভাব কতটুকু— এই দুই ভাবনাতেই বিশ্বজুড়ে সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার যেসব নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে তাদের সবাই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিল। আর তাই চিন্তা বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে যেসব ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে তাদের কোনোটি করোনার জেনেটিক উপাদান (mRNA)-এর উপর ভিত্তি করে, কোনোটি স্পাইক প্রোটিনের গঠনের ওপর ভিত্তি করে, কোনোটি আবার নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাস ব্যবহার করে। সেখানেই সীমাবদ্ধতা। যেহেতু এই করোনাভাইরাস আদতে রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড ভাইরাস (RNA Virus) তাই বিপদ অনেক।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের অবিশ্বাস্যরকমভাবে পরিবর্তিত একটি রূপ হচ্ছে ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক অধ্যাপক তুলিও দে অলিভেইরা বলেছেন, ‘অস্বাভাবিকভাবে বিপুল সংখ্যক মিউটেশন ঘটেছে এতে’ এবং এটি করোনার অন্যান্য রূপগুলো থেকে ‘একেবারেই আলাদা’।
তিনি বলেন, ‘এতে সব মিলিয়ে ৫০টিরও বেশি মিউটেশন ঘটেছে। আর শুধু এর স্পাইক প্রোটিনেই ৩০টিরও বেশি মিউটেশন হয়েছে, যা ভাইরাসটিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করেই ভাইরাসটি আমাদের শরীরের কোষে প্রবেশ করে। বেশিরভাগ ভ্যাকসিনও এই স্পাইক প্রোটিনকে টার্গেট করেই বানানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাইরাসটির যে অংশ আমাদের শরীরের কোষের সঙ্গে প্রথম সংযোগ স্থাপন করে, সেই রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেনে ১০টিরও বেশি মিউটেশন ঘটেছে। এর আগে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বেলায় যেখানে মাত্র দুটি মিউটেশন ঘটেছিল। কিন্তু, রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেনে মাত্র দুটি মিউটেশন নিয়েই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বকে ঝাঁকুনি দিয়েছিল।’
বিজ্ঞানীদের হাতে এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য এসেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর বদল হয়েছে মূলত স্পাইক প্রোটিনে। ৩২ বার স্পাইক প্রোটিনের জিনগত কাঠামোতে বদল হয়েছে। জিনের প্রোটিন মধ্যস্থ অ্যামাইনো অ্যাসিডের স্থান বদল হয়েছে ৩২ বার। ফিউরিন (একটি প্রোটিয়েজ উৎসেচক) ক্লিভেজ সাইটেও মিউটেশন হয়েছে তিন বার। অর্থাৎ রূপ না বদলালেও চরিত্র বদলেছে বেশ কিছুটা।
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহীদুল্লা সারাবাংলাকে বলেন, ‘নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের আলাদাভাবে নতুন করে সতর্ক হওয়ার কিছু নেই। যতদিন মহামারি এই বিশ্বে থাকবে ততদিন সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। যেকোনো ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেই এই সতর্কতা জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে প্রাথমিক যে ধারণা পাওয়া গেছে তাতে এর ছড়ানোর ক্ষমতা ও তীব্রতা বাড়াতে পারে। তবে এটি ভ্যাকসিন অ্যান্টিবডিকে এসকেপ করতে পারবে কি না তা নিয়ে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত কোনো গবেষণা হয়নি। এ কারণে বিশ্বের সবাই সতর্ক অবস্থানে আছে। আমাদেরও দেশের বন্দরগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। এটি যেকোনো সময়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে। আমাদেত কড়াকড়িভাবে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সামনে নিয়ে আসতে হবে। ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেনো সেটা থেকে বাঁচার উপায় ও ট্রিটমেন্ট প্রটোকল কিন্তু একই থাকে।’
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবাইকে সবসময়ই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। তবে এখন পর্যন্ত স্বস্তির বিষয় হলো, দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা দেওয়া করোনার নতুন ধরনের রোগী এখন পর্যন্ত খুবই কম পাওয়া গেছে। আর আমাদের এই অঞ্চলেও তেমন একটা পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা ও বতসোয়ানাতে পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, এ ধরনের স্পাইক প্রোটিনে ৩২টা মিউটেশন রয়েছে। এখন স্পাইক প্রোটিন যেহেতু ভ্যাকসিনের একটা কার্যকরী অবস্থা তৈরি করে, এই ধরন সেটা কমিয়ে দিতে পারে। তবে এখনো তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু অনেকগুলো মিউটেশন হয়ে গেছে, সেজন্য এমন আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। সবসময়ই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। দেশের ভাইরাসের সিকোয়েন্স করছি। আমাদের এ অঞ্চলে এখনো এই রকম কিছু পাওয়া যায়নি।’
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব ও রোগ নির্ণয় বিভাগের পরিচালক এবং আইইডিসিআরের পরিচালককে ই-মেইলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে যে, আমাদের অবিলম্বে দেশের সবগুলোকে ‘পয়েন্ট অব এন্ট্রিতে’ কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে। এসব পয়েন্টে পাবলিক হেলথের জনবল বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটা কেসের জিনোম সিকোয়েন্স করা দরকার। এটা ছাড়া নতুন ভ্যারিয়েন্ট ধরা যাবে না। করোনার নতুন ধরনটি ঠেকাতে বাংলাদেশের আগাম পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, ‘আগাম পদক্ষেপ নেওয়া না গেলে করোনা নিয়ন্ত্রণে যতটুকু এগিয়েছি, আবার পিছিয়ে যাব।’
কী বলছে কর্তৃপক্ষ?
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভাইরাস রূপ বদলাবেই। এটা স্বাভাবিক বিষয়। আর তাই সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, সিকোয়েন্সিং আমাদের একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি আমরা সবসময়েই করে যাচ্ছি। তবে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সব বন্দরে সবসময়ই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। একইসঙ্গে কোয়ারেনটাইনের বিষয়টিও প্রক্রিয়া অনুযায়ী করা হয়। পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সেটা বাস্তবায়ন করব।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পরামর্শক কমিটির বৈঠক হবে খুব দ্রুতই। সেখানে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনার সিদ্ধান্ত আমরা জানাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।’
তিনি বলেন, ‘ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেন, সেটা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কিন্তু একটাই; স্বাস্থ্যবিধি মানা। একই সঙ্গে সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।’
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আফ্রিকান নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আফ্রিকাসহ ইউরোপের কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন নামক করোনার নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট বিষয়ে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবগত রয়েছে। এ বিষয়ে করণীয় সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাসটি করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় কিছুটা বেশি অ্যাগ্রেসিভ হলেও দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে তৎপর রয়েছে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।’ ভাইরাসটি নিয়ে অধিক আতঙ্কিত না হয়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আফ্রিকান নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিষয়ে আমরা অবহিত হয়েছি এবং এই ভাইরাসটি খুবই অ্যাগ্রেসিভ। সে কারণে আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ এখন স্থগিত করা হচ্ছে। সব এয়ারপোর্ট, ল্যান্ডপোর্টে বা দেশের সকল প্রবেশপথে স্ক্রিনিং আরও জোড়দার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সারা দেশেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে ও মুখে মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করতে জেলা প্রশাসনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের আক্রান্ত অন্যান্য জায়গা থেকেও যারা আসবে তাদের বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনোভাবেই স্ক্রিনিং ছাড়া যেন আক্রান্ত দেশের কোনো ব্যক্তি দেশে প্রবেশ করতে না পারে।’
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম