Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আবরার হত্যার মাস্টারমাইন্ডরা চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৫২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ‘মামলার তদেন্ত এসেছে, আসামিরা বড় ভাইদের নির্দেশে আবরারকে হত্যা করেছে। কিন্তু বড় ভাই কারা ছিল তাদের এ মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি। অর্থাৎ এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কারা সেটা এখানে আসেনি’— এভাবেই বলছিলেন আবরার হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ।

রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আবরার হত্যা মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত তা পিছিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মামলার বিষয় নিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী উপরের মন্তব্য করেন।।

বিজ্ঞাপন

বুয়েটের নিরাপত্তার কথা তুলে ধরে আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘ঘটনার সময় রাত ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় বুয়েট কর্তৃপক্ষ কিছুই করতে পারেনি। প্রক্টর থেকে শুরু করে নিরাপত্তাকর্মীরা বলেছেন, তারা ঘুমিয়েছিলেন। হাজার হাজার ছাত্রের নিরাপত্তার এত বড় দায়িত্ব নিয়ে তারা কিভাবে ঘুমিয়ে থাকে? সেখানে সিকিউরিটি গার্ড থেকে শুরু করে অনেক সিসি ক্যামেরা আছে। কিন্তু দেখা গেছে, উনারা কোনো নিরাপত্তা দিতে পারেননি। কোনো কারণে বুয়েট কর্তৃপক্ষ যদি ঘটনাটা জানতে পারতো তাহলে এ দুর্ঘটনাটা ঘটতো না। নিরাপত্তা দেখে মনে করছি, উনাদের গাফিলতি আছে। ভিসিসহ বুয়েট কর্তৃপক্ষকে মামলায় আইনগতভাবে আনা উচিত ছিল। এটা আমরা আর্গুমেন্টে বলেছি। আশা করছি, এটা জাজমেন্টে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ এ ধরনের কোনো কাজ করতেই পারে না। আমরা বলেছি, বহিরাগতরা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ কারণেই ঘটনার সময়ের কোনো ভিডিও ফুটেজ আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে পারেনি। আমরা আদালতে আবেদনও করি, ভিডিও ফুটেজটি আদালতে উপস্থাপন করার জন্য। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, এটা ডিলিট হয়ে গেছে। ঘটনার দিনেই কি ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হয়ে যায়? ফুটেজগুলো আনা গেলে বহিরাগত কারা কারা ছিল, সেই বিষয়টা চলে আসতো।’

আসামিপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘এ ঘটনাটা ছাত্রলীগ যারা করে তারা ঘটায়নি। জোর করে তাদের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের কারণে একটি চার্জশিট দেওয়া প্রয়োজন। সেজন্য পুলিশ আমাদের নিরীহ ছাত্রদের স্বীকারোক্তি আদায় করিয়ে চার্জশিট দিয়েছে। সকল আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তারা থানা, পুলিশ, কোর্ট কাচারি বুঝেই না। তারা মেধাবী ছাত্র। আমি মনে করি, আমাদের দেশে মেধাশূন্য করার জন্য কোনো গোষ্ঠী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তার দায় ছাত্রলীগের ওপর চাপিয়েছে।’

সারাবাংলা/এআই/পিটিএম

আবরার হত্যা মাস্টারমাইন্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর