সিনহা হত্যা মামলা: মঙ্গলবারও তদন্তকারী র্যাব কর্মকর্তার জেরা
২৯ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৩৯
কক্সবাজার: সেনাবাহিনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় তদন্তকারী র্যাব কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামের জেরা শেষ করতে পারেনি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। ফলে কাল মঙ্গলবার আবারও জেরা শুরু হবে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে জেরা কার্যক্রম চলে। যেখানে একজন আসামির আইনজীবীর জেরা অসমাপ্ত রয়েছে। ফলে কাল মঙ্গলবারও জেরার কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
পাবলিক প্রসিকিউটর জানান, গত ১৭ নভেম্বর সপ্তম দফায় তৃতীয় দিনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামের জেরা শুরু হয়েছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা শেষ করতে পারেনি। ফলে আদালতের নির্ধারিত ধার্য দিন সোমবার অসমাপ্ত জেরার কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুরে ১ ঘণ্টার বিরতি দিয়ে ৫টা পর্যন্ত জেরার কার্যক্রম চলে। এ পর্যন্ত ১৪ আসামির আইনজীবী জেরা শেষ করলেও প্রদীপের পক্ষের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত জেরা শেষ করতে পারেননি। তিনি মঙ্গলবার অসমাপ্ত জেরা করবেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা শেষ হলে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে। এরপর শুরু হবে মামলার উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।
তবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আগে আইনের বিধি-মোতাবেক আসামিদের শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। হাসপাতাল থেকে শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে আসার পর যুক্তিতর্কের কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়।
গত ২৯ আগস্ট থেকে এ মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলার ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ দফায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনার পরপর পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেন র্যাবকে। তদন্ত শেষে ১৩ ডিসেম্বর র্যাব ১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
চলতি বছরের ১৭ জুন আদালত ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করে। মামলায় অভিযুক্ত টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছে।
সারাবাংলা/এমও