মুন্সীগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে আহত ৪
২৯ নভেম্বর ২০২১ ২০:৪৯
ঢাকা: মুন্সীগঞ্জ জেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ, বাসাবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আহত চারজন হলো- ছোটমোল্লাকান্দি গ্রামের মুজিব মোল্লার ছেলে রিফাত (২০), রুহুল আমিনের ছেলে আল আমিন (২৫), মজনু দেওয়ানের ছেলে বাবু দেওয়ান (২৭), আব্দুল ফাহাদ খানের ছেলে বাবুল খান (৩২)। তাদেরকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, ‘দুই পরাজিত মেম্বার প্রার্থী নজির হালদার (তালা প্রতীক) ও বাবু বেপারি (মোরগ প্রতীক) এর প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে, এখনও মামলা হয়নি। এলাকায় পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
এদিকে, ২৮ নভেম্বর সকাল থেকে ২৯ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত মোট ৩২ জন আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিক আহম্মেদ জানান, আহতদের অনেকে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। অনেকে হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছেন।
অন্যদিকে,পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী সিদ্দিকের চাচাতো ভাই রিয়াজুল শেখ স্বতন্ত্র প্রার্থীর হামলায় নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
নিহত রিয়াজুলের স্ত্রী বিলকিছ বেগম অভিযোগ করে জানান, প্রথম দফায় রোববার বিকেল ৩টার দিকে মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মারধর মরে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফার সমর্থকরা। এরপর নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আনারস প্রতীকের সমর্থকরা দ্বিতীয় দফায় রাত ৮ টায় বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়। আমার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। তবে, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, রিয়াজুল শেখের মরদেহ তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সারাবাংলা/একে