বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক
২৯ নভেম্বর ২০২১ ২১:০৩
ঢাকা: তুরস্কের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি উৎকৃষ্ট গন্তব্য স্থল বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা সফররত দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক নীতি ও আইনি কাঠামো এবং সার্বিকভাবে বাণিজ্যিক পরিবেশ বিদেশিদের বিনিয়োগের জন্য সহায়ক বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (ডিসিসিআই) এসে তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল এসব মন্তব্য করে। তুরষ্ক-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’র চেয়ারপার্সন হুলিয়া জেডিক’র নেতৃত্বে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভায় যোগ দেন। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮৬ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আমদানি ও রফতানি ছিল যথাক্রমে ২৩৩ দশমিক ৪১ এবং ৪৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে তুরস্ক ও বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৪৯৯ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে বোঝা যায় দুই দেশের রফতানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণ, রেলওয়ে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, স্বাস্থ্যসেবা, মেডিকেল যন্ত্রপাতি, জাহাজ নির্মাণ, কৃষি ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন খাতে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অন্তত সম্ভাবনাময়। তাই বাংলাদেশের এসব খাতে তুরস্কের উদ্যেক্তাদের আরও বেশি করে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন হুলিয়া জেডিক বলেন, প্রয়োজনীয় যোগাযোগের অভাবে তুরষ্কের উদ্যোক্তাদের নিকট বাংলাদেশের পরিচিত বেশ কম। তাই দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের টেকসই উন্নয়নের উপর জোর দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তুরস্কের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সম্প্রতি তুরস্কে একটি ‘বাংলাদেশ রিসার্চ সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং পৃথিবীর ১০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে উত্তরণের লক্ষ্যে তুরস্ক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দুদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষকরে বেসরকারি খাতের পার্টনারশিপের আরও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত বেশ সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করে নিজ দেশের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তুরস্কের এই রাষ্ট্রদূত।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস