দেশজুড়ে এখন গ্রামীণফোনের ২০০ জিপিসি
১ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৩৮
ঢাকা: গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে সারাদেশে ২০০ টি ফ্ল্যাগশিপ স্টোর –‘গ্রামীণফোন সেন্টার’ (জিপিসি) এর কার্যক্রম শুরু করেছে গ্রামীণফোন । কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জিপিসি চালুর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার ২০০তম জিপিসি’ স্থাপনের অসামান্য মাইলফলক অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ উপলক্ষে বুধবার (১ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রামীণফোন। বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ আনুষ্ঠানিকভাবে জিপিসি উদ্বোধন করেন। গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত ও হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস মো. আওলাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে গ্রাহক ও জিপিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রামীণফোনের হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস মো. আওলাদ হোসেন কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা নাগেশ্বরী থেকে যুক্ত হন এবং জিপিসি’র কার্যক্রম তুলে ধরেন।
গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের অনুপ্রেরণা থেকে, এখন দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের প্রয়োজনীয় কাস্টমার সল্যুশন সেন্টার রয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে সর্বোচ্চ সম্পৃক্ততা এবং প্রতিশ্রুতি পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০ জিপিসি’র পাশাপাশি, গ্রামীণফোন এর বিদ্যমান অন্যান্য ডিজিটাল সেবা চ্যানেল, ১২১ হটলাইন ও মাইজিপি অ্যাপ্লিকেশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জেলা সদরের বাইরে জিপিসি’র বিস্তৃতি ঘটেছে এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন গ্রামীণফোন সেন্টার রয়েছে। অবস্থান অনুসারে ২শ’টির মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৪টি, সিলেটেও ২৪টি, রাজশাহীতে ২১টি, বরিশালে ১৯টি, বগুড়ায় ১৮টি, খুলনায় ১৭টি, ময়মনসিংহে ১৭টি, কুমিল্লায় ১৬টি, চট্টগ্রামে ১২টি এবং রংপুরে ৭টি জিপিসি রয়েছে। এছাড়াও, গ্রাহকরা সারা দেশের ৪ লাখ ২০ হাজার রিটেইল পয়েন্ট থেকেও সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই গ্রামীণফোনের জন্য আজকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ জনগণের কাছাকাছি আসার এক বিশাল মাইলফলক প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে।’
জনগণের সঙ্গে কানেক্টেড হওয়ার জন্য গ্রামীণফোনের হটলাইন, মাইজিপির মতো সেবা থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য গ্রামীণফোন সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা সবসময়ই থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সাধারণ মানুষ যারা এখনও পুরোপুরি ডিজিটাল সেবায় অর্ন্তভূক্ত হয়নি , জিপি সেন্টার তাদের জন্য সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এ ব্যাপারে গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব বলেন, ‘২০০তম জিপিসি’র এই দুর্দান্ত মাইলফলক অর্জন নিয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এই স্টোরগুলো গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে