গণফোরামের কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত
২ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৫৯
ঢাকা: সাবেক এমপি মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রধানদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাওয়াত কার্ডটি তার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার কার্ডটি বিএনপির দলীয় কার্যালয় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই সম্মেলনে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। গণফোরামের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন উপস্থিত না থাকলেও তাকে আজীবন গণফোরামের সভাপতি পদে রাখা হবে। এছাড়া সম্মেলনে মোস্তফা হোসেন মন্টুকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে সুব্রত চৌধুরী ছাড়াও প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট আফ্রিদি ও মোহাসীন রশিদের নাম রয়েছে। কাউন্সিলদের মতামতের ভিত্তিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বা চিত করা হবে। তবে এক্ষেত্রে সুব্রত চৌধুরী এগিয়ে রয়েছেন।
দলীয় সূত্রটি জানায়, ইতোমধ্যে ৩৪টি জেলায় সম্মেলন করে কমিটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে মার্শাল কাদেরকে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ও মো. সুমন আহমেদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান বুলু ও তাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। আর জুয়েল জামালকে ঢাকা জেলা আহ্বায়ক করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, এই সম্মেলন থেকে একটি রাজনৈতিক মোর্চার গঠন করার আহবান জানানো হবে। এছাড়া খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো, এবং নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন, আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার দাবি তোলা হবে। এসব দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন, পরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা দাবি প্রস্তাব রাখা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হচ্ছে। তার মধ্যে থাকছে- দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এ জন্য সাত সদস্যের একটি নির্বাহী পরিষদ থাকবে। এই নির্বাহী পরিষদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা প্রেসিডিয়াম বৈঠকে উত্থাপন করে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া দুই টার্মের বেশি দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কেউ থাকতে পারবেন না। তবে সংগঠনের সভাপতি কখনো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এছাড়া ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ প্রস্তাবের কথা গঠনতন্ত্রে থাকছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কমানো। এজন্য স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে জেলা সরকার গঠন করা। উপজেলা পর্যায়ে সার্বিক ক্ষমতা উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।
এসব বিষয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি বাংলাদেশ সংবিধান প্রণেতা সদস্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, আমরা সকল রাজনৈতিকভাবে নেতাদের আহ্বান জানিয়েছি। আশাকরি সবাই উপস্থিত হবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আসবে। কাউন্সিলের পরেই সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস