Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ মোস্তফা জব্বারের

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:১৩

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, যে বিভাগেই পড় না কেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের উপর জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা জানতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করাও একটি ডিজিটাল দক্ষতা।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম’র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা। স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই জাতীয় অধ্যাপককে শ্রদ্ধা জানানো শেষে আলোচনা পর্ব শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করে বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে, যাতে তোমরা প্রত্যেকেই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন কর। যেই বিভাগেই পড় না কেন তোমরা যেন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পার।’

মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরী হিসেবে যথাযোগ্য আচরণ করার পরামর্শ দিতে আলোচনা সভায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা সেই মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারী। সেই সংগ্রামের উত্তরাধিকারী। তোমাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আমরা যেন উত্তরাধিকারীর মত আচরন করি। উত্তরাধিকারকে পুঁজি করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করা নয়; বরং কাজেকর্মে উত্তরাধিকারকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

এই ব্যাপারে শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ জানান সুলতানা কামাল।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যে সুযোগ-সুবিধা আছে, ফান্ড আছে, আজ থেকে বিশ-ত্রিশ বছর আগে তা ছিল না। এর পরেও সেসময় আমাদের অনেক গুণী শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে অনেক ভালো গবেষণা হয়েছে। এখন আমাদের কিন্তু ফান্ডের অভাব নেই। একটু আত্মসমালোচনা যদি করি— আগের অল্প সুযোগ-সুবিধার সত্ত্বেও যে মানের গবেষণা হতো, এখন আমরা তা আমরা করতে পারছি কি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল যে উৎসাহ-উদ্দীপনায় শতবর্ষের অনুষ্ঠান হয়েছে তাতে আমি আশাবাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্জাগরণের জন্য এটি একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমার একটাই প্রত্যাশা, আগামী শতাব্দীতে আমরা যেন জাতিকে আরও ভাইব্রান্ট, আরও ক্রিয়েটিভিটি এবং হিউম্যান ভ্যালুস রিচ সোসাইটি উপহার দিতে পারি সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব।’

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, নাট্য ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু প্রমুখ।

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

ঢা‌বি মোস্তাফা জব্বার

বিজ্ঞাপন

ড. ইউনূসের ৬ মামলা বাতিল
২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৩১

আরো

সম্পর্কিত খবর