ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ ডব্লিউএইচওর বিজ্ঞানীর
৩ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:০১
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। ওমিক্রন প্রতিরোধে বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলো পরিবর্তন করতে হবে কি না— এ ব্যাপারে এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলেও মনে করেন তিনি। এছাড়া অন্য সকল ভ্যারিয়েন্টকে পেছনে ফেলে ওমিক্রন সবচেয়ে প্রভাবশালী উঠতে পারবে কি না তাও এখনই বলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা মহাদেশের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভ্যারিয়েন্ট অন্যান্য সকল ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে সংক্রমণযোগ্যতা ও মিউটেশনের দিক থেকে বেশি বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবশ্য বিজ্ঞানীদের এমন ধারণা প্রাথমিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে। ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে ফের করোনাকালীন বিধিনিষেধে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে যাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে তার উপর জোর দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের কতটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? আমাদের আতঙ্কিত নয়, সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ আমরা এক বছর আগের অবস্থা থেকে এখন ভিন্ন পরিস্থিতিতে আছি।
তিনি বলেন, বিশ্বের ৯৯ শতাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। সম্ভবত ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে এবং সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের জন্য দায়ী হবে। এটা হতে পারে, কিন্তু হবেই এমনটা এখনও বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য যে, গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। এরপর আফ্রিকার দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ইউরোপ-এশিয়া-আমেরিকা মহাদেশের প্রায় ৩০টি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্টটি সর্বশেষ গোটা বিশ্বে তাণ্ডব চালানো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সারাবাংলা/আইই