সবুজবাগে চা দোকানদারকে কুপিয়ে হত্যা
৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:২৭
ঢাকা: রাজধানীর সবুজবাগ কদমতলা এলাকায় জহির মুন্সী (২৭) নামে এক চা দোকানদারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে কদমতলা হক আবাসিক সোসাইটির মাণ্ডা খালের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে হক সোসাইটি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহতের গলাসহ শরীরে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাত ছিল। অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এতে একজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
নিহত জহিরের বোন জামাই আব্দুল মতিন জানান, তাদের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার সাকুয়া গ্রামে। বাবা মোখলেস মুন্সি, মা জায়েদা ও স্ত্রীসহ কদমতলা হক আবাসিক সোসাইটিতে থাকতেন। এলাকায় চায়ের দোকান ছিল জহিরের। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়ে গেলে ১৫দিন আগে সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। প্রথম সংসারে তার একটি সন্তান রয়েছে।
মতিন আরও জানান, হক সোসাইটির গেটের সামনেই জহিরের চায়ের দোকান। শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত সে দোকানে ছিল। এরপর নাজমুল নামে এক ব্যক্তি জহিরকে ডেকে জিরানী খালের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে চারতলার একটি ভবনের নিচে কয়েকজন মিলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে সে দৌড়ে বের হয়ে গেলে সীমানা প্রাচীরের পাশে ফেলে জবাই করে হত্যা করা হয়। তার শরীরে ১৫টির বেশি আঘাত রয়েছে।
জহিরের পরিবার হক সোসাইটির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকাকালে একটি রুম সাবলেট দিয়েছিল নাজমুলের কাছে। তখন নাজমুলের কাছে জহিরের বাবার সাত হাজার টাকা পাওনা ছিল। সেই টাকা না দিয়েই নাজমুল বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। এই পাওনা টাকা বিভিন্ন সময় চেয়েও পাচ্ছিল না জহির। পাওনা টাকার জেরেই নাজমুল তার সঙ্গীদের নিয়ে জহিরকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে বলে দাবি আব্দুল মতিনের।
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম