যুবলীগের আশ্রয় কর্মসূচির ৪র্থ ধাপের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:২৫
ঢাকা: যুবলীগের আশ্রয় কর্মসূচির ৪র্থ ধাপের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ৪ ডিসেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহিদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।
এদিন সকাল ৯ টায় বনানী কবরস্থানে শহিদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ করে যুবলীগ। সকাল ১১ টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে “শেখ ফজলুল হক মণি; সৃষ্টিশীল তারুণ্যের প্রতীক” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, শেখ মণির রাজনৈতিক পরিচয় আপনাদের জানা। শেখ মণি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করে যুবসমাজকে সংগঠিত করে বঙ্গবন্ধুর দেশ গড়ার কাজে নিয়জিত করে একটা সুখী, সমৃদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন করার স্বপ্ন দেখে ছিলেন। স্বল্প উন্নত রাষ্ট্র থেকে আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে। আমাদের লক্ষ্য এখন ভিন্ন। আমাদের চিহ্নিত করতে হবে আগামীর সংগ্রাম কী, প্রতিকূলতা কী। চিহ্নিত করতে হবে সেই সংগ্রামের ধরন কী; প্রতিকূলতার বৈশিষ্ট্য কী।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দীর্ঘ সংগ্রামী পথ পাড়ি দিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘের অনুমোদনে স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিন-রাত পরিশ্রমের কারণে। তাই আমাদের সংগ্রামটা এখন ভিন্ন রকম। আমাদের আগামীর সংগ্রাম হবে একটা ন্যায়পরায়ণ, মানবিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, মেধাভিত্তিক, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আরও বলেন, প্রগতিশীল সমাজ ব্যবস্থা ধর্মান্ধতার কোনো স্থান নাই। ধর্মনিরপেক্ষতা শুধু একটা হাল-ফ্যাশনের রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, ধর্মনিরপেক্ষতা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। যার যার বিশ্বাস তার তার। বিশ্বাস কখনো চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, মণি ভাইয়ের জন্মদিনে স্মরণসভা করব এটা কখনও ভাবিনি। জন্মদিন যেমন আনন্দের তেমনি জন্মদিনে স্মরণসভা অত্যন্ত বিয়োগান্তক বেদনা বিধুর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬দফা শুধু প্রমাণ করেননি, তাকে শুধু বাস্তবায়িত করেননি, এটাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন শেখ মণি ভাই।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা শুধু রাজনীতিবিদ তৈরি করবেন তা নয়, আপনারা নেতা তৈরি করবেন। সকল ক্ষেত্রে নেতার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আপনাদের সাথে আছি।
সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আজ প্রোগ্রামে আসার সময় দেখলাম বিএনপি-ছাত্রদলের কুলাঙ্গাররা দেশের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই ,১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুসহ মণি ভাইকে যারা হত্যা করেছে, আরজু মণিকে যারা হত্যা করেছে, সেই জামাত-বিএনপির দোসররাই আজকে দেশের বিরুদ্ধে, নেত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে।
সারাবাংলা/আইই