Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ন্যায় বিচারে সমঅধিকার নিশ্চিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ঝর্ণা রায়, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:১০

ঢাকা: দারিদ্রতা কমিয়ে সবার জন্য সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি জীবনব্যাপী শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টির মতো লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি বাংলাদেশ। তারপরও ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সবার সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসজিডিতে থাকা এ লক্ষ্য অর্জনে নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। তৃণমূল মানুষের বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা দিতে কয়েকটি মন্ত্রণালয় আলাদা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যার সুফল এরই মধ্যে মানুষ পেতে শুরু করেছে। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ন্যায় বিচারে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

এসডিজি ১৬.৩

পরিবর্তনশীল বিশ্বে সমতা ও বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ছয় বছর আগে যে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) স্থির করেছিল সেই ১৭ লক্ষ্যের একটি ১৬.৩-এ রয়েছে জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ে আইনের শাসন প্রবর্ধন এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সবার সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা। ২০১৬ সাল থেকে এসডিজি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। কিন্তু ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সবার সমঅধিকার প্রাপ্তিতে এখনো দৃশ্যমান অর্জন চোখে পড়েনি। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিতে অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা এখন চলমান।

সরকারের নেওয়া উদ্যোগ

বাংলাদেশ সংবিধান (অনুচ্ছেদ ১১)এবং তৃতীয় অনুচ্ছেদে ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’ (অনুচ্ছেদ ২৭)। সাংবিধানিক এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনে অনুসমর্থন জানিয়েছে এবং দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ন্যয় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে আইন প্রণয়নসহ নানাধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতিসংঘের সাবর্জনীন মানবাধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু ন্যয় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণে সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা থাকার পরও বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা, খরচ ও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য বিষয়ে ধারণা না থাকায় অনেক নাগরিক আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার চাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তৃণমূল মানুষের বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা দিতে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন পাস করে সরকার। এই আইনের ফলে দেশের অসহায়, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এই উদ্যোগ এরই মধ্যে প্রান্তিক মানুষের বিচার পাওয়ার আস্থায় পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রকল্প’র আওতায় দেশের ৬৪ জেলা সদরে এবং সুপ্রিম কোর্টে লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে আগস্ট ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ৩২ হাজার ৯৭৯ জনকে বিনামূল্যে আইনি সেবা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২ লাখ ৬২ হাজার ১১৪ জনকে আইনি পরামর্শ সেবা, ৩ লাখ ৯৪৫ জনকে বিনামূল্যে আইনি সেবা, ৫২ হাজার ৫৮২ জনকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সেবা, ১৭ হাজার ৩৮২ জনকে হটলাইনের মাধ্যমে তথ্য সেবা দেওয়া হয়েছে। লিগ্যাল এইড অফিসে আইনি সেবা দেওয়ার পাশাপাশি পক্ষের ব্যক্তিদের ৬৬ কোটি ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৬১৬ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছে।

এর বাইরে দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির উপরে। নাগরিকদের আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগও কাজ করছে। এছাড়া বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে গঠিত প্রতিষ্ঠিত ট্রাইব্যুনাল, শ্রম আদালতের মাধ্যমেও বিচার প্রার্থীরা উপকৃত হচ্ছেন। গ্রাম আদালত আইনের মাধ্যমেও বিবাদ আইনের সেবা মানুষ পেয়ে থাকেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোও এ বিষয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস- ব্ল্যাস্ট, মহিলা আইনজীবি সমিতি, আইন ও সালিস কেন্দ্র, মাদারীপুর লিগ্যাল এইড। কিন্তু এত উদ্যোগের পরেও দেশের নাগরিকদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে এখনো অনেক পিছিয়ে।

চার বছরে এগিয়েছে যতদূর

মোট ১৭টি লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)। এসডিজির ১৬ অভিষ্টে ন্যায় বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৬. ৩-এ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনের শাসন প্রবর্ধন এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সবার সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে পাঁচ বছর পার করলেও সরকারি/বেসরকারি মিলিয়ে দুই/তিনটি অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারিভাবে এসডিজির অগ্রগতি পরিবীক্ষণে প্রয়োজনীয় উপাত্ত ও পরিসংখ্যানের চাহিদা পূরণের জন্য দুটি আলাদা কর্ম উদ্যোগ নেওয়া হয়। একটি পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), আরেকটি করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।

দুটি প্রতিষ্ঠানের নেওয়া উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য বর্তমান বাস্তবতায় সহজলভ্য উপাত্তগুলো চিহ্নিত করা এবং প্রয়োজন নেই এমন উপাত্তগুলোর প্রকৃতি ও ঘাটতির মাত্রা পরিমাপ করা। সেখানে দারিদ্র দূরীকরণ, ক্ষুধা অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা, সমতাভিত্তিক শিক্ষা, জেন্ডার সমতা অর্জন, পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলোর অগ্রগতি দৃশ্যমান তথ্য পাওয়া গেলেও এসডিজি অগ্রগতি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া প্রেক্ষিতে দেখা গেছে- অভিষ্ট ১৬ শান্তি, ন্যায় বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে দুর্বল ও স্থবির।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারন অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) এসডিজি নিয়ে চার বছরের অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০১৯ সালে প্রণয়ন করলেও তা প্রকাশ করা হয় ২০২০ সালে। সেখানে সরাসরি সূচক ১৬.৩ এর অগ্রগতির কোনো তথ্য না থাকলেও ১৬.৩.১ এর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে যে সকল নারী তাদের সঙ্গীর দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের ৭২ শতাংশ অন্য কারও সঙ্গে এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেননি। মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ ভিকটিম স্থানীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, আর ১ দশমিক ১ শতাংশ পুলিশের সতায়তা চেয়েছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে এ বিষয়ে চমকপ্রদ অগ্রগতি দেখা গেছে। ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৩৭ হাজার উপকারভোগীকে আইনি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২০১৭ সালেই ৮০ হাজার মানুষকে আইনি সহায়তা দিতে পেরেছে সরকার। এমআইসিএস ২০১৯ অনুসারে সহিংসতার শিকার ১০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।

এদিকে, বেসরকারিভাবে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম বাংলাদেশ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নিজ নিজ উদ্যোগে কয়েকটি সূচকে এসডিজির অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এসডিজির প্রধান উদ্দেশ্যই হলো কাউকে পেছনে ফেলে উন্নয়ন নয়। এটাকে নিশ্চিত করার জন্যই সবার জন্য সমান বিচারের ব্যবস্থা করা এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। সত্যিকার অর্থে ন্যায় বিচারের সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত সেগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব, দক্ষতার অভাব, দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারে না। আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে সকলের ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এই বিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, ব্যক্তি ও পরিচয়ের ওপর নির্ভর করে বিচারপ্রার্থীর বিষয় নির্ধারণ হয়। যিনি বিচার প্রার্থী তার অবস্থান কি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা কতটুকু আছে, আর্থিক পরিস্থিতি কেমন- তার ওপরে ভিত্তি করে তার বিচার হয়। কখনো কখনো বিচারের ক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিচয় মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে সকলের জন্য সমান বিচার নিশ্চিত ব্যহত হয়।’

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। ন্যায়বিচার পাওয়ার অন্তরায় দু’টি। এক. আর্থিক সক্ষমতা এর সঙ্গে জড়িত; দুই. আইনের অধিকার সম্পর্কে অবগত না থাকা। তিনি বলেন, ‘যেখানে এখনো ২০ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে, তাদের পক্ষে অর্থ খরচ করে ন্যায় বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাওয়া সব সময় সম্ভব হয় না। যে কারণে ন্যায়বিচার কখনো কখনো ব্যহত হয়। এছাড়া নাগরিকরা অধিকার সম্পর্ক অবহিত নন। আমাদের শিক্ষাক্রমেও আইন আদালত বিষয়ে তেমন উল্লেখ নেই। তাই জানার পরিধি কম। এক্ষেত্রে নারীরা আরও বেশি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়েছে। আমাদের অর্জন অনেক। নারী ক্ষমতায়নে বিশ্ব পরিচিতি পেয়েছি। এটি আরও জোড়ালো করতে হবে। আসলে সমাজে সহিষ্ণুতা, স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। অস্থিতিশীল পরিবেশে কোনো কিছু অর্জন করা যাবে না।’

এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেকোনো দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক আইনি কাঠামো অপরিহার্য। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার এসডিজি অন্যান্য গোলের সঙ্গে বৈষম্যহীন আইন ও নীতি প্রয়োগ পূরণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। এই গোল পূরণে আইন মন্ত্রণালয় মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এর অংশ হিসেবে আইনি গবেষণার মাধ্যমে তারতম্যমূলক আইন ও নীতি চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৭৯৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রণীত ১ হাজার ২৮৬টি আইনে কোনো বৈষম্যমূলক বিধান রয়েছে কি না তা গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ/বিভাগ এ বিষয়ে কাজ শেষ করেছে। তাদের সুপারিশ বিশ্লেষণ করে এ সংক্রান্ত আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা যায় কি না সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

এসডিজি এমন একটি পরিকল্পনা যা বিশ্বে সমতা বা বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিতই নয়, গোটা বিশ্বের মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধিতে টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ক্ষুধা ও দারিদ্রসহ সবধরনের বৈষম্যের অবসানও ঘটাবে এই কর্মপরিকল্পনা। এই কর্মপরিকল্পনায় ১৭টি লক্ষ্য এবং ১৬৯টি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষুধা, অসমতা, দারিদ্রের বিলোপ সাধন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া। পাশাপাশি রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় প্রবেশগম্যতার উন্নয়ন ঘটানো, মানুষ ও ধরিত্রীর কল্যাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া এবং শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করা। ১৭টি অভিষ্টের প্রত্যেকটির নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এবং সব মিলে এমন লক্ষ্যমাত্রার সংখ্যা ১৬৯টি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনে সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা এমডিজি অর্জনের সময় শেষ হওয়ার পর শুরু হয়েছে ১৫ বছর মেয়াদী সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজি। তবে এমডিজির আটটির বিপরীতে এসডিজিতে পূরণ করতে হবে ১৭টি লক্ষ্য।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

এসডিজি ন্যায় বিচার বাংলাদেশ সমঅধিকার

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর