ট্রেন-গাড়ি সংঘর্ষ: দুর্ঘটনাস্থলে নিহত সাদরাজের সহপাঠীদের বিক্ষোভ
৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৪৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ডেমু ট্রেনের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষে নিহত এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদরাজ উদ্দিনের সহপাঠীরা দুর্ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা দুর্ঘটনার জন্য গাড়িচালকদের পাশাপাশি বিআরটিএসহ প্রশাসনকেও দায়ী করেছেন।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নগরীর পাহাড়তলী কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঝাউতলা রেলক্রসিং এলাকায় আসেন। সেখানে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
সাদরাজের সহপাঠী রাশেদুল হাসান বাপ্পী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সড়কে কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। শুধু চট্টগ্রাম নয়, দেশের বিভিন্নস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ লোকজন মারা যাচ্ছে। বাস-ট্রাকের কারণে মূলত সড়কে বেশি মানুষ মরছে। এসব দুর্ঘটনার জন্য শুধু বাস-ট্রাকের চালকরাই দায়ী নয়, বিআরটিএ দায়ী, প্রশাসনের গাফেলতিও দায়ী। তাদের সঠিক কোনো প্রশিক্ষণ নেই। দালালের মাধ্যমে বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স পাচ্ছে।’
সহপাঠী মিনহাজ আনোয়ার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের একজন সহপাঠী মারা গেছে। সে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। তার বাবা-মা কি আর সন্তান ফিরে পাবে? সড়কে এই মৃত্যুর দায় কে নেবে? আমরা নিরাপদ সড়ক চাই। সড়কে নেমে এমন করুণ মৃত্যু চাই না।’
এদিকে বিকেলেও একদল শিক্ষার্থী দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের হাতে সড়কে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ছিল।
এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা রেলক্রসিং এলাকায় ডেমু ট্রেনের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশা ও হিউম্যান হলারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহতের বিষয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে। নিহতরা হলেন- মো. মনিরুল ইসলাম (৫৮), বাহা উদ্দিন সোহাগ এবং সাদরাজ উদ্দিন (১৮)।
এদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। বাহা উদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়। পেশায় একজন প্রকৌশলী। সাদরাজ নগরীর পাহাড়তলী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাদের বাসা নগরীর হামজারবাগের গাউছিয়া আবাসিক এলাকায়।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম