Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জেলা কমিটি থেকেও অব্যাহতি মুরাদকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৩১

ঢাকা: প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসানকে জেলা কমিটির পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়ছে। এক জরুরি সভায় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা কমিটিতে ডা. মুরাদ স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের ওই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকি বিল্লাহ সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অ্যাডভোকেট বাকি বিল্লাহ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভায় কমিটির সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বাকি বিল্লাহ আরও বলেন, ডা. মুরাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দলকে বিব্রত করেছে। যে কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। তিনি এরই মধ্যে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগও তাকে সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন-

ডা. মুরাদ হাসানের আওয়ামী লীগের সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কমিটির এই সভাপতি বলেন, তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের এখতিয়ার আমাদের নেই। আমরা জেলা কমিটির পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা আমরা কেন্দ্রকে জানাব। তার দলের সদস্যপদ নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক কথা বলে চরম সমালোচিত হন ডা. মুরাদ হাসান। তার বক্তব্যকে অভব্য, শিষ্টাচার বহির্ভূত, নারীবিদ্বেষী, কুরুচিপূর্ণ বলে অভিহিত করেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও।

এর একদিন পরই একটি ফোনকল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহির সঙ্গে সেই কথোপকথনেও ডা. মুরাদকে অশালীন কথা বলতে শোনা যায়। ফোন কলে মাহিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে তাকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়াসহ যৌন সহিংস কথাবার্তাও বলেন ডা. মুরাদ।

এরপর ডা. মুরাদের আরও কিছু অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নারী অধিকারকর্মীসহ রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রীর প্রতি। এসব বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগও চাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।

সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা ডা. মুরাদকে অবহিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নির্দেশনা মেনে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ দফতরে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ডা. মুরাদ। বিকেল ৩টার দিকে তার পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পৌঁছে দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/এসএসএ/টিআর

জামালপুর জেলা কমিটি জেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি ডা. মুরাদ ডা. মুরাদ হাসান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর