২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েছে
৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৪০
ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচ জন। আগের দিনের তুলনায় এ সংখ্যা ছিল চার। তবে একই সময়ে দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২৯১ জনের শরীরে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৪ জন বেশি।
এদিকে, নতুন সংক্রমণের পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হারও বেড়েছে। আগের দিন এই হার ছিল ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮৪৮টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫১টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব ৬৪০টি।
এসব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য সারাদেশের বিভিন্ন বুথ থেকে ১৯ হাজার ৮৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ১৪টি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার ৮৫৭টিতে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৮ লাখ ৩০ হাজার ২৯৮টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৫৫৯টি।
আগের দিন দেশে ২৭৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২৯১ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলো ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ১১ জনের শরীরে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা কমেছে
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার রোগীর সংখ্যা কমেছে। আগের দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৩২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩০৮ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৯০৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মৃত্যুর পরিসংখ্যান
গত ২৪ ঘণ্টায় যে পাঁচ জন মারা গেছেন তা নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃত্যু দাঁড়ালো ২৮ হাজার ১০ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সারাবাংলা/এসএসএ