৫ বছর পর সাংবাদিক বিপুলের লাশ উত্তোলন
৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৪০
বগুড়া: জেলার নন্দীগ্রামে পাঁচ বছর পর মৃত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলের লাশ উত্তোলন করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে বিপুলের লাশ উত্তোলন করা হয়।
এর আগে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আদালতের নির্দেশে মামলাটি ৯ সেপ্টেম্বর থানায় রেকর্ডভূক্ত হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাসের উপস্থিতিতে লাশ তুলে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার বর্ষণ গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম জুয়েল (৩৫), আব্দুল মান্নান (৩৮), নছির উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫৫), আব্দুল মজিদ (৫০), আব্দুল মজিদের ছেলে মানিক উদ্দিন (২৭), ইসমাইল হোসেনের ছেলে খোকন হোসেন (৪৫), কোলদিঘী গ্রামের আব্দুল জোব্বারের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৫) ও বরেন্দ্র পাকুরিয়াপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আবু সাঈদ (৩৫)। এ হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই শাহ সুলতান।
সাংবাদিক বিপুলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করে। পরে হত্যার ঘটনাটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায়।
এসআই শাহ সুলতান জানিয়েছেন, মামলাটি রীতি অনুসারে তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মৃত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুল নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। তিনি দৈনিক ইত্তেফাক এবং দৈনিক সকালের আনন্দ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সারাবাংলা/একেএম