Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে দুর্নীতির টাকা ফেরত, জমাকারী অজ্ঞাত!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:৩৫

রাজশাহী: রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতি করে লুটপাট করা প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত এসেছে। দুর্নীতির এক মামলার বিপরীতে বোর্ডের অনুকূলে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে এই টাকা। টাকা জমা দেওয়ার ব্যক্তির নাম লেখা রয়েছে শওকত আলী। একই নামে ওই মামলার একজন আসামিও রয়েছেন। তবে শওকত আলী বলছেন, তিনি কোনো টাকা জমা দেননি! মামলার অন্য আসামিরাও টাকা জমা দেওয়ার তথ্য স্বীকার করছেন না।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের রাজশাহীর গ্রেটার রোড শাখায় বোর্ডের অ্যাকাউন্টে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১ টাকা জমা হয়। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ব্যাংক থেকে শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, টাকা জমা দেওয়ার সময় আবেদনে একটি মামলার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই মামলার কারণেই টাকাগুলো জমা দেওয়া হলো। যে মামলার বিবরণে টাকাগুলো জমা দেওয়া হয়েছে, তার প্রধান আসামি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। ওই মামলার মোট আসামি ১৪ জন। ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঠিক সমপরিমাণ টাকাই ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে।

টাকা জমা হওয়ার খবর নিশ্চিত করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক তারিক হাসান সারাবাংলাকে বলেন, দুদকের একটি মামলার বিবরণ দিয়ে টাকাগুলো জমা করা হয়েছে। জমাকারী হিসেবে শওকত আলী নাম লেখা আছে। কিন্তু আমরা তাকে চিনি না। কাউন্টারে অনেক মানুষই টাকা জমা দেয়। সবাইকে চিনে রাখা সম্ভব নয়। টাকা জমা হওয়ার পর শিক্ষা বোর্ডকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। আজই (মঙ্গলবার) চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগের কারণে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান শেষে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় একটি মামলা করে। মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে চার জন ঠিকাদার এবং অন্যরা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওই মামলায় এরই মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি টাকা ফেরত দিয়ে মামলা থেকে আসামিদের দায়মুক্তির জন্য আবেদনও করা হয়েছে। কে আবেদন করেছেন, সেটি দুদকও স্পষ্ট করে জানায়নি। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় টাকা ফেরত দিয়ে দায়মুক্তির সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা। তবে রায়ের সময় আদালত এটি বিবেচনা করতে পারেন।

জানতে চাইলে মামলার এক জন আসামি ঠিকাদার শওকত আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের পাওয়া কয়েকটি কাজ না করেও বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। তবে সব কাজই করা হয়েছিল। এখন কে টাকা ফেরত দিয়েছে, সেটি আমি বলতে পারব না। আমি টাকা দিইনি।’

শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি অসুস্থ, ঢাকায় থাকি। আমি কোনো টাকা ফেরত দিইনি। কে টাকা জমা দিয়েছেন, তাও জানি না। মামলার অন্য আসামিরাই এখন মামলা দেখে। তারা দিয়েছে কি না, সেটিও জানি না।’

মামলার আরেক আসামি শিক্ষাবোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক নেসার উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘কে টাকা জমা দিয়েছে, তা আমিও জানি না। আমি তো শুধু মামলার শুনানির দিনে আদালতে হাজিরা দেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে অনেকদিন হাজিরাও দিতে হয়নি।’

সারাবাংলা/টিআর

টপ নিউজ দুর্নীতির টাকা ফেরত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সালমান শাহ্‌ স্মরণে মিলাদ মাহফিল
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩

নাফ নদীর মোহনায় ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯

সম্পর্কিত খবর