Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঠিকাদার স্বপনের বিরুদ্ধে জবি’র সাবেক অধ্যাপকের মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:০২

ঢাকা: ঠিকাদারি একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক এক শিক্ষক। আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে নকল সিলমোহর ও জাল গ্রেফতারি পরোয়ানা তৈরির অভিযোগ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং জবি ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক কাজী মো. আবু কাইয়ুম (কাইয়ুম শিশির)। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফজলুল করিম চৌধুরী ওরফে স্বপন চৌধুরীকে। মামলার আরেক আসামি স্বপন চৌধুরীর অফিসের কর্মকর্তা কায়েছুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ব্যবসায়িক কারণে স্বপন চৌধুরী ও কাইয়ুম শিশিরের মধ্যে আর্থিক লেনদেন ছিল। স্বপন চৌধুরীর কাছে ব্যবসার টাকা পান কাইয়ুম শিশির। টাকা দিতে না পারলে কাইয়ুম শিশির দুইটি মামলা করেছিলেন স্বপনের নামে। পরে কাইয়ুম শিশিরের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন স্বপন চৌধুরীর অফিস কর্মকর্তা কায়েছুল ইসলাম।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে প্রতিবেদনও দাখিল করে। পরে আসামিরা (স্বপন চৌধুরী ও কায়েছুল ইসলাম) কাইয়ুম শিশিরের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা তৈরি করেন। স্বপন চৌধুরী পরোয়ানাটি কাইয়ুম চৌধুরীর পরিচিত এক ব্যক্তির কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান। ওই ব্যক্তি আবার সেটি কাইয়ুম শিশিরের মোবাইলে পাঠান।

বিজ্ঞাপন

কাইয়ুম শিশিরের অভিযোগ, আসামিরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে জাল গ্রেফতারি পরোয়ানা ও নকল সিলমোহর তৈরি এবং সরকারি কর্মকর্তার সই সংযোজন করে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তার কাছে সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠান। সেই পরোয়ানার সূত্র ধরে পুলিশও তার এলাকায় যায়। পরে তিনি ঢাকার আদালতে খবর নিয়ে জানতে পারেন, তার নামে কোনো মামলাই নেই।

কাইয়ুম শিশির জানিয়েছেন, এ ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা করতে যান তিনি। পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে আসার পরামর্শ দেয়।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

আদালতে মামলা জবি অধ্যাপক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর