Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রায় শুনে অঝোরে কাঁদলেন আবরারের বাবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:২৭

ঢাকা: অনেক আশা নিয়ে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। তড়িৎকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখছিলেন আবরার ফাহাদ। সেই আবরারকে প্রাণ দিতে হয়েছিল সহপাঠীদের নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরপর দুই বছর ধরে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে আদালত প্রাঙ্গণে ছুটেছেন বরকত উল্লাহ। দুই বছর দুই মাস পর এসে বিচারিক আদালত থেকে রায় পেলেন সেই হত্যা মামলার। রায় শুনে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। অঝোরে কান্না ঝরে পড়ল বরকত উল্লাহর চোখ থেকে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এসময় আদালতে ২৫ আসামির মধ্যে ২২ জন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন- আবরার হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৫

রায় ঘোষণার পর কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আদালতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল থাকে।’

বরকত উল্লাহর চাওয়া— এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। রায়ে সন্তুষ্ট বলেও জানান তিনি। তবে ছেলেকে হারানোর বেদনা এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারছেন না। তিনি বলেন, ছেলেকে তো ফিরে পাব না। এখন শুধু চাওয়া, রায় দ্রুত কার্যকর হোক। এই রায় থেকে সবাই শিক্ষা নিক। আমি ছেলে হারিয়েছি। আর কোনো বাবাকে যেন এভাবে সন্তান হারাতে না হয়— এটুকুই প্রত্যাশা থাকবে।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন তিনি। হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাতে শিবির সন্দেহে তাকে হলের ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়। অমানবিক নির্যাতনের একপর্যায়ে প্রাণ হারান আবরার ফাহাদ।

এ ঘটনায় প্রথমে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদ্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। এর মধ্যে ১৯ জন ছিলেন এজাহারভুক্ত আসামি, তদন্তে জড়িত প্রমাণ পাওয়ায় বাকি ছয় জনকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই ২৫ আসামির মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রায় ঘোষণার সময় তাদের সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

আবরার ফাহাদ আবরার হত্যা আবরার হত্যা মামলা আবরারের বাবা টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

এখনো সালমানকে মিস করেন মৌসুমী
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩

সালমান শাহ্‌কে হারানোর ২৮ বছর
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৪

সম্পর্কিত খবর