Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রায়ে দেশবাসী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৫১

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, তারা রায়ে সন্তুষ্ট। এই রায়ের মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত ২২ আসামির উপস্থিততে এই রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

রায়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করতে আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। বুয়েটের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের একাংশ পড়ালেখা করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের দিকে দেশবাসী তাকিয়ে থাকে। সেখানে দুই বছর আগে অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় গোটা জাতি ক্ষুব্ধ হয়েছিল।

আরও পড়ুন- রায় শুনে অঝোরে কাঁদলেন আবরারের বাবা

তিনি বলেন, একজন ছাত্রকে রাতে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে মারধর করতে থাকেন। রাত ৮ থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নির্মম মারধরের মাধ্যমে আবরারকে হত্যা করা হয়েছিল। সে ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত আজ রায় দিয়েছেন। রায়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, আমরা মনে করি— এই রায়ের মাধ্যমে দেশবাসী কলঙ্কমুক্ত হতে পেরেছে। আইন, বিচার, সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এই কলঙ্ক থেকে মুক্তি হতে পেরেছি আমরা। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যেন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে না ঘটে, সেই প্রত্যাশা করি।

বিজ্ঞাপন

এই মামলা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষকে ব্যথিত করেছে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে নৃশংসভাবে হত্যার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, এজন্য আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। এর উদ্দেশ্য, যেন সমাজে একটি বার্তা যায়, সবার মধ্যে যেন ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকে।

আরও পড়ুন- আবরার হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৫

রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি জানালেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। তারা বলেন, রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ হয়েছি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আবরারকে হত্যার উদ্দেশে ডেকে নেওয়া হয়নি। তাকে হত্যার জন্য কোনো উপকরণ ছিল, এই মামলায় সেরকম কোনো সাক্ষ্য নেই। মামলাটি হওয়ার কথা নরহত্যার! ৩০৪ ধারায়। হত্যার কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন তিনি। হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাতে শিবির সন্দেহে তাকে হলের ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়। অমানবিক নির্যাতনের একপর্যায়ে প্রাণ হারান আবরার ফাহাদ।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

আবরার ফাহাদ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা আবরার হত্যা আবরার হত্যা মামলা আবরার হত্যা মামলার রায় টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর