Tuesday 15 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আবরার হত্যার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধেই সর্বোচ্চ সাজা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:৩২ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:৩৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের সঙ্গে যে নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে, তা দেশের সব মানুষকে ব্যথিত করেছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধ করতেই ট্রাইব্যুনাল মামলার ২০ আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন তিনি।

আবরার হত্যা মামলার রায়ে ২৫ আসামির মধ্যে ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ২৫ আসামির মধ্যে যে ২২ জন গ্রেফতার ছিলেন, তাদের সবাইকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে যেকোনো সময় বুয়েটের শেরেবাংলা আবাসিক হলের ক্যান্টিনে এবং পরদিন রাত ১০টার পর থেকে যেকোনো সময় পর্যন্ত একই হলের গেস্ট রুমে আসামিরা দফায় দফায় মিটিং করেন। তারা আবরারকে হত্যার অভিন্ন অভিপ্রায়ে ৬ অক্টোবর রাত ৮টা থেকে ৭ অক্টোবর ভোর পর্যন্ত সময়ে শেরেবাংলা হলের ২০১১ ও ২০০৫ নম্বর রুম এবং প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ের জায়গায় ক্রমাগত আঘাত করতে থাকেন। তারা উত্তেজিত হয়ে চড়, থাপ্পড়, লাথি, কিল, ঘুষি মারেন, কনুই দিয়ে পিঠে আঘাত করেন, ক্রিকেট স্টাম্প, স্কিপিং রোপ দিয়ে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে একাধিকবার পিটিয়ে ৫০/৬০টি এবং পরবর্তী সময়ে আবারও ৪০/৫০টি মারাত্মক গুরুতর জখম করে হত্যা করেন কি না, তা বিচার্য বিষয়।

বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও ছয় জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য যথাক্রমে যাচাই, স্ক্যানিং ও মার্শালিং করা হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষীর জ্ঞান, তার নিঃস্বার্থতা ও সততা এবং সত্যবাদিতার ওপর সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে। সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণ করতে ট্রাইব্যুনাল প্রত্যক্ষ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং সম্ভব্যতা বিবেচনা করা হয়। প্রত্যক্ষ সাক্ষী, চাক্ষুষ সাক্ষী, স্বীকারোক্তি এবং সিসিটিভি ফুটেজ দিয়ে একত্রে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, নিঃসন্দেহে সব আসামি পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরার ফাহাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে তাকে হত্যা করেছে।

মামলার রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে ভারতের উচ্চ আদালতের কয়েকটি উদাহরণও উল্লেখ করেন বিচারক। বলেন, সার্বিকভাবে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার কারণেই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজাই দেওয়া হয়েছে।

এদিন সকাল সোয়া ৯টার দিকে আসামিদের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। রায় ঘোষণার আগেই ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। ১১টা ৫৮ মিনিটের বিচারক এজলাসে ওঠেন। এরপর রায় পড়া শুরু হয়।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

আবরার ফাহাদ আবরার হত্যা আবরার হত্যা মামলার টপ নিউজ রায়ের পর্যবেক্ষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর