আদিবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ৫৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:২২
বগুড়া: জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে চোলাই মদ উদ্ধার করতে গিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সাত পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পুলিশের একজন এসআইসহ কয়েক জন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫৯ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানায়, নন্দীগ্রাম থানায় এসআই রেজাউল করিমসহ দুই পুলিশ সদস্য মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার বুরইল ইউনিয়নে দাসপাড়া বৃন্দাবন পাড়ায় চোলাই মদ উদ্ধার করতে যান।
স্থানীয়রা জানান, দাসপাড়া গ্রামটি আদিবাসি অধ্যুষিত। ওই গ্রামে জাম্বো মাহাতোর মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। তাদের রীতি অনুয়ায়ী বিয়ে উপলক্ষে বর পক্ষের জন্য চোলাই মদ রাখা হয়েছিল। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে কনের মামা সুজন নামে একজনকে আটক করে। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেখা দেয়।
পুলিশ জানায়, তারা সেখান থেকে ১৮ লিটার মদ পায়। পরে সুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এ নিয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর কথাকাটাকাটি শুরু হয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, আদিবাসীদের রীতি অনুযায়ী বিয়ের মদ রাখা হয়েছিল। তবে, পুলিশের দাবি সেখানে মদ বিক্রি হচ্ছিল। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পরিস্থিতি আরো উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। পরে থানা থেকে আরও পুলিশ সেখানে যায়। এক পর্যায়ে সেখানে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে এসআই রেজাউলসহ সাত পুলিশ আহত হন। অপর দিকে পুলিশের মারপিটে সাত/আট জন গ্রামবাসী আহত হন।
তবে নন্দীগ্রাম থানার ওসি জানিয়েছেন, তারা লাঠিচার্জ করেননি। গ্রামবাসী আহত হওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই। এক পর্যায়ে গ্রামের আদিবাসীরা দাসপাড়া বাজার এলাকায় পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানায়। পরে ঊর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি জানিয়েছেন, আহত এসআইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে, দাসপাড়ার ইউপি সদস্য জানিয়েছেন তাদের এলাকার কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে সবাই আদিবাসী নন।
সারাবাংলা/একেএম