Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আলোচনার ৮ ইস্যু চূড়ান্ত: ১৭-১৮ জানুয়ারি ঢাকায় বসছে বিডিএফ


১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:০৫

জোসনা জামান, স্টাফ করসপন্ডেন্ট

বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) বৈঠক বসছে আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি।  ঢাকার সেনারগাঁও হোটেলে উন্নয়নসহযোগীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতিও  এগিয়ে নিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। আলোচনার জন্য চূড়ান্ত হয়েছে ৮টি ইস্যু। এগুলো হচ্ছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ, জেন্ডার,বেসরকারি খাত, কৃষি,শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য।

বিজ্ঞাপন

মূল প্রবন্ধ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অগ্রগতি প্রতিবেদন। ইআরডিতে অনুষ্ঠিত টাস্ক কমিটির বৈঠকে এসব ইস্যু চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ সারা বাংলাকে বলেন,বিডিএফ বৈঠকে এবার দাতা সংস্থাগুলোর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা আসবেন। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট আসবেন। এছাড়া ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) প্রেসিডেন্ট এবং এশীয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট বাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট আসার কথা। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বিভিন্ন গ্রপের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে বিডিএফ সফল হবে।

সূত্র জানায়,বিডিএফে সাধারণত উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশগুলোর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন। তাদের সামনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সম্ভাবনা ও সমস্যা এবং করনীয় সম্পর্কে সরাসরি বড় পরিসরে আলোচনা করা যায়। এতে যেমন নিজেদের অবস্থা তুলে ধরা যায়,তেমনি উন্নয়নসহযোগীরাও তাদের সহযোগীতা কৌশল নির্ধারণে বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করতে পারে। ২০০২ সালে প্যারিসে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এখন থেকে প্যারিসে নয় উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। সে হিসেবে ২০০৩ এবং ২০০৪ সালে ঢাকাতেই বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরোমের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

২০০৭ সালে তত্তাবধায়ক সরকার  সময়ে এ ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ওই সরকার গণতান্ত্রিক না হওয়ায় উন্নয়ন সহযোগীরা বিডিএফ বৈঠকে বসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে ৫ বছর আগে ২০১০ সালের ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি বিডিএফ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৫ ও ১৬ নভেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিডিএফ বৈঠক। এর দুই বছর পর আবারও বসতে যচ্ছে ওই বৈঠক।

ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের লীড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, বিশ্বব্যাংক ও এডিবির উন্নয়ন কৌশল সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে ঘিরে। এখন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাঝামাঝি এসেছে। তাছাড়া এসডিজির প্রায় দুই বছর চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়ার পর নতুন কি কি চ্যালেঞ্জ আসবে,সেখানে দাতাদের সঙ্গে সরকারের সমন্বয় কিভাবে হবে এসব বিষয় আলাপ-আলোচনা করা প্রয়োজন। এজন্য বিডিএফ বৈঠকটি যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) অনুমোদন পায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এটির মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীন উৎস থেকে ধরা হয়েছে ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৩ লাখ ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত এ লক্ষ্যের কতটুকু অর্জন হয়েছে তার মূল্যায়ন তুলে ধরা হবে বিডিএফে।

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশের  অতিরিক্ত প্রায় ৭৪ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি উৎস থেকে বিশাল চাহিদার ১৫ শতাংশ আসতে পারে বলে ধারণা করছে সরকার। সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসডিজি বাস্তবায়নে  ৭৯ হাজার ৬৯০ কোটি ডলার সরকারি তহবিল থেকে যোগান দিতে হবে। অন্যদিকে ১৩ হাজার ২৩৯ কোটি ডলার  বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহ করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতি অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে গড়ে ৫ হাজার ৬৮৬ কোটি ডলার এবং বৈদেশিক উৎস থেকে গড়ে ৯৪৬ কোটি ডলার সংগ্রহের প্রস্তাব রয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থায়নকে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

 

(সারাবাংলা/জেজে/ জিআ/১৪ ডিসেম্বর ২০১৭)

 

 

 

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর