Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ন্যায়বিচার সম্পন্ন ও বৈষম্যহীন সমাজের জন্য অসমতা কমাতে হবে

সারাবাংলা ডেস্ক
৯ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৫৬

সমতা ও বৈষম্যহীনতার নীতিই হচ্ছে মানবাধিকারের প্রাণ। একটি অর্ন্তভুক্তিমূলক ন্যায়বিচার সম্পন্ন এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য অসমতাকে কমিয়ে আনা জরুরি বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) পাঠানো ওই বিবৃতিতে তারা বলছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এই দিবসটিকে বিশেষ মর্যাদা সহকারে স্মরণ করছে। মানবাধিকার কোনো দেশের সীমারেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ অধিকার মানুষের সহজাত, অবিচ্ছেদ্য। মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ১০ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত হয়।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘EQUALITY-Reducing inequalities, advancing human rights’ বাংলায় বলা যায় ‘সমতা-অসমতা কমানো, মানবাধিকারের অগ্রযাত্রা’। এবারের প্রতিপাদ্যটি মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার অনেুচ্ছদ ১ এর সাথে সম্পর্কিত। এই অনুচ্ছেদে রয়েছে ‘সকল মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং তাদের প্রত্যেকের মর্যাদা ও অধিকার সমান’।

একটি অর্ন্তভুক্তিমূলক ন্যায়বিচার সম্পন্ন এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য অসমতাকে কমিয়ে আনা জরুরি। আর এর জন্য দরকার ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির সমাজে সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার জন্য তাঁর মৌলিক অধিকার পুরণ করা। আজকের বাস্তবতায় কোভিড অতিমারির সময়ে যে কোন পরিচয় নির্বিশেষে সকলের টিকা পাওয়ার অধিকারও গুরুত্ব পেয়েছে।

ওয়ার্লড ইকোনমিক ফোরামের বৈশ্বিক লিঙ্গ বৈষম্য প্রতিবেদন-২০২১ অনুযায়ী, নারী-পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে ১৫৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ৬৫-তম। পরিবারের মধ্যে মানবাধিকার সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে এই বিরাজমান বৈষম্য হ্রাস করা সম্ভব। পরিবারে মেয়ে, ছেলেদের সমান অধিকারের পাশাপাশি মেয়ে গৃহকর্মী ও প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের যথাযথ সুবিধা প্রদান করার শিক্ষা পরিবার থেকে পেলে তা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাও অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছে তারা।

আমাদের দেশে দৃশ্যমান উন্নয়ন বাড়লেও ধনী গরীবের বৈষম্য এবং অসমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর পাঁচ হাজারের বেশি নতুন ব্যাক্তি কোটিপতি হচ্ছেন। করোনার মধ্যেও এত সংখ্যক কোটিপতি বৃদ্ধি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে ধনীদের আয় বৈষম্যের প্রকট উদাহরণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, দেশের প্রবৃদ্ধি গুটিকয়েক মানুষ ভোগ করছেন। ক্রমাগত বৈষম্যবৃদ্ধি ও অসমতা সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়েই বহি:প্রকাশ।

কাউকে পশ্চাতে রেখে নয় সবাইকে সাথে নিয়ে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষমাত্রা ২০৩০ এমন একটি কর্ম পরিকল্পনা যেখানে মানবাধিকারের সকল বিষয় সমানভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। এই কর্ম পরিকল্পনায় অর্ন্তভুক্তিমূলক সমাজ গঠন, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা, যে কোন অতিমারি এবং জলবায়ু সংকট মোকাবেলার দিক নির্দেশনা রয়েছে। তবে সর্বস্তরে মানবাধিকার সংস্কৃতি চর্চা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে এর বাস্তবায়ন কেবল সম্ভব বলে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

সারাবাংলা/আরএফ/

১০ ডিসেম্বর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস এমএসএফ সুলতানা কামাল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর