আগুনে ঘর হারালেন শতাধিক বস্তিবাসী, একজনের প্রাণহানি
১১ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৫২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে একটি বস্তিতে আগুনে শতাধিক মানুষ ঠাঁই হারিয়েছেন। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছেন। আগুনের ভয়াবহতা দেখে বস্তির এক বাসিন্দা স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোররাতে নগরীর সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি পানির ট্যাংকির পাশে রেললাইন সংলগ্ন এসআরবি কলোনি বস্তিতে আগুন লাগে।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোর চারটা ২০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুই ঘণ্টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের কাছে হতাহতের কোনো তথ্য নেই।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আগুনে বস্তির তিন সারিতে ২২ জন মালিকের ৩৩টি কাঁচাঘর পুড়ে গেছে। আগুনে ৩০টির বেশি পরিবার তাদের সহায়-সম্বল হারিয়েছে। শতাধিক মানুষ ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন।
আগুনে সব হারানো মঞ্জু খানম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বস্তির একপাশ থেকে আগুন লাগে। এত তাড়াতাড়ি আগুন ছড়িয়ে পড়ে, ভাতের ডেকচিটা পর্যন্ত বের করতে পারিনি। কোনোমতে নিজের জান আর বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়ে এসেছি।’
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন সারাবাংলাকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে বস্তির এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আব্দুল জলিল (৫৪)।
‘আব্দুল জলিল আগেও দুইবার স্ট্রোক করেছিলেন। আগুনের ভয়াবহতা দেখে তিনি তৃতীয়বার স্ট্রোক করেন বলে বস্তির লোকজন জানিয়েছেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। আগুনে তার ঘর পুড়েছে কি না সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।’- বলেন ওসি
পরিত্যক্ত একটি রেল লাইনের পাশে গড়ে ওঠা ওই বস্তিতে একশর বেশি বসতঘর ছিল। স্থানীয়দের দাবি, সেখানে থাকা বিদ্যুৎসংযোগ অবৈধভাবে নেওয়া। সেখান থেকে শটসার্কিট অথবা রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেছেন, আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে।
সারাবাংলা/আরডি/এএম