ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ২০০৮ সালে ঢাকার সর্বত্র পানির হাহাকার লক্ষ করেছি। সে সময় গ্রহকরা রাস্তায় এসে ‘পানি দাও, পানি দাও’ বলে ঝাড়ু মিছিল করেছে। কিন্তু এখন আর পানির সংকট নেই বলেই সাধারণ মানুষ পানির জন্য মিছিলও করছে না।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজার ঢাকা ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হল রুমে ‘নিম্ন আয় এলাকার জনগণের জন্য আদর্শ গ্রাহক সম্মাননা পুরস্কার বিতরণী’ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। ঢাকা ওয়াসা, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), সাজেদা ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ওয়াটারএইড এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এই দিন ২৫ জন বস্তিবাসীকে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে নিম্ন আয়ের কমিউনিটির গ্রাহকদের পাবলিক ওয়াটার সার্ভিসের বৈধ সংযোগ ব্যবহারে উৎসাহিত করতে সনদ প্রদান করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘মিরপুর ছাড়াও তেজগাঁও, রমনা ও শিল্পাঞ্চল এলাকায় পানির হাহাকার দেখেছি। সরকারি বেসরকারি জায়গা মিলিয়ে পায় ৩০ টি স্থানে ডিপ টিউবয়েলের ব্যবস্থা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘সবাই ভেবে ছিল বস্তিবাসীরা হয়ত বিল দেবে না। আবার তাদের স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় ওয়াসা পানি সরবরাহ করতে পারেনি। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার ওয়াটার লো ইনকাম কমিয়নিটি (এলাইসি) এর মাধ্যমে বস্তিবাসীদের পানি সরবরাহ করছে। তারাও শতভাগ বিল পরিশোধ করছে।’
ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নিম্ন আয়ের লোক বিশুদ্ধ পানির আওতার বাইরে ছিল। তাদেরকে বাদ দিয়ে গণবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না। ডিজিটাল ওয়াসা গড়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বস্তিবাসীদের মাঝে পানি বিতরণের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘গুলশানের প্রভাবশালীদের কাছে লাখ টাকার বিল বকেয়া থাকে। তবে নিম্ন আয়ের লোকজন বিল পরিশোধ করছে শতভাগ। আগে তারা অবৈধভাবে পানি ব্যাবহার করে, ৫ গুণ বেশি বিল দিতে হতো।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান, ঢাকা ওয়াসা বোর্ড ড. প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় সরকার বিভাগ অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান প্রমুখ।