Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিক্ষাব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তর চান মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:১১

ঢাকা: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তর করার আহ্বান জানিয়েছেন মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষাস্তরে মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। চক-ডাস্টারের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ সীমাবদ্ধ না রেখে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে। একইসঙ্গে, যথাযথ শিক্ষা উপকরণ মাতৃভাষায় রূপান্তরের পরামর্শ দেন মন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আয়োজিত চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন সিনকস ইঞ্জিনিয়ার্সের পরিচালক নাসিক এম আক্কাস, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন ফার্ম সেমসর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম সারোয়ার এবং ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইইইই) প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান। প্যানেল আলোচনায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. সারওয়ার মোর্শেদ।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোর্স অনুমোদন দেওয়া উচিত যার ব্যবহারিক প্রয়োগ আছে। এছাড়াও, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও যোগাযোগ দক্ষতার ঘাটতি থাকলে স্নাতকের চূড়ান্ত ডিগ্রি না দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও যোগাযোগ দক্ষতার অভাবে গ্রাজুয়েটরা চাকরির বাজার থেকে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় এ দু’টি বিষয় অতীব গুরুত্ব দিতে হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তার বক্তব্যে শুধু সার্ফিকেট বিতরণের উদ্দেশ্যে কোর্স বা বিষয় অনুমোদন না করে বরং বাস্তবতার নিরিখে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে এমন কোর্স বা বিষয় অনুমোদনে ইউজিসির প্রতি আহ্বান জানান। তিনি তরুণদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরির পেছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।

গবেষক ও উদ্ভাবকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, শুধু উদ্ভাবন করলেই হবে না, তার বাণিজ্যিকীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। উদ্ভাবনের মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে। সরকার মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণ সহজ করতে বিদ্যমান আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইনোভেশন এডুকেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশান বাড়াতে হবে।

প্যানেল আলোচনায় বক্তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া প্ল্যাটফর্ম গঠন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা, শিক্ষা কারিকুলাম হালনাগাদসহ তরুণদের আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সারাবাংলা/টিএস/একেএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর