৯৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেল বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড
১১ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৪৬
ঢাকা: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ৭ম বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড-২০২১। এবার সেরা ৯৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে বিজয়ীদের হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড-২০২১-এর উপদেষ্টা ও বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান এবং বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড-২০২১-এর প্রধান বিচারক ও বেসিসের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাওলি, ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া আরফিন, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং বেসিস সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সারদের এমনভাবে উৎসাহী করতে হবে যাতে তাদের দেখে আগামী প্রজন্ম উৎসাহিত হয়। উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ফান্ডিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ট্রেডিশনাল ফান্ডিং দিয়ে তা হবে না।’ তাই তরুণদের জন্য ব্যাংকগুলোকে আলাদা উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সি-পাওয়ার নামে নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত এক লাখ ফ্রি-ল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে চায়। আর এর জন্য তিনি বেসিসের মাধ্যমে ফ্রি-ল্যান্সারদের প্রস্তাবনা দেওয়ার জন্য আহ্ববান জানান তিনি।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘সরকার ২০২৫ সাল নাগাদ পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতোমধ্যে এ খাতে অর্জিত আয়ের উপর ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা চালু করেছে।’ তিনি এই নগদ প্রণোদনা ২০ শতাংশে উন্নীত করার অনুরোধ জানান।
এবার বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড-২০২১-এর কার্যক্রম ২৭ অক্টোবর ২০২১ থেকে নিবন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় এবং ১৮ই নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ সময়ে চৌদ্দ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ এর নিবন্ধন করেন। এর মধ্যে থেকে বিচারকমণ্ডলীর মাধ্যমে ধাপে ধাপে যাচাই বাছাই করে, প্রতিষ্ঠান পর্যায় ও ব্যক্তি পর্যায়, এ দুটি ভাগে, সাত ক্যাটাগরিতে মোট ৯৯টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ২০টি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৯টি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঁচটি, স্টার্টআপ বিভাগে পাঁচটি এবং এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স বিভাগে ১০টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। আর ব্যাক্তি পর্যায়ে ৬৩ জেলায় ৬৩ জনকে, ব্যক্তি নারী বিভাগে পাঁচ জনকে, জাতীয় শীর্ষ ১০ জন আউটসোর্সারকে এবং বিশেষভাবে সক্ষম এক জনকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পেলেন বেসিস অ্যাওয়ার্ড
স্টার্টআপ বিভাগে বিজয়ী- অ্যাপন্যাপ টেকনোলজিস লিমিটেড, আরাফিন মিডিয়া, কাটিং এজার, থিমফিক ও ক্রিয়েটিভিটিক্স সফটওয়্যার লিমিটেড।
এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স বিভাগে বিজয়ী- সিকিউর লিংক সার্ভিস বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রেন স্টেশন ২৩ লিমিটেড, সেফালো বাংলাদেশ লি, গ্রাফিকপিপল লিমিটেড, ডাবলইউ থ্রী ইঞ্জিনিয়ার্স লি, মনস্টার ল্যাব বাংলাদেশ লিমিটেড, ইক্সোরা সলিউশন লিমিটেড, ডেটা এক্সেঞ্জ, এ আর কমিউনিকেশনস ও এস্টিম সফট লিমিটেড।
ব্যাক্তি পর্যায়ে- জেলা পর্যায়ে বিজয়ী এফএম রিফাতুল আলম, মো. মহিবুল্লাহ আল মামুন, সুজিত কৃষ্ণ কুন্ডু, মো. মিজানুর রহমান, মো. নাজমুল হক, মো. রাসেল মিয়া, মো. হারুনুর রশিদ, এমডি নাসির আহমেদ, রাহাত আহমেদ, ইনামুল হক, মো. জিয়াউল হক, নাজমুল কবির, মো. নাজমুস সাকিব, মো. মাহামুদুল হাসান, সৈয়দ মশিউর রহমান, আবদুল্লাহ আল ফারুক, মো. রকিবুল হাসান, সাব্বির আহমেদ রবিন, জহিরুল ইসলাম, শাহনূর, বিলাল ইসলাম, খালিদ হাসান, মো. ফয়সাল মৃধা রনি, মো. মাহফুজুর রহমান, মো. আতিয়ার রহমান, সুমন কান্তি দাস, কাজী রাশেদুল ইসলাম, মো. আরিফুর রহমান, মাহফুজ মোহাম্মদ লুৎফুল ইয়াজদানী, মো. তানভীর হাসান, মাসুদ কামাল জিশান, মো. রাজিব হোসেন, আবির মাহমুদ, সজল কুমার সরকার, শ্রীবিজয় চৌহান, জুয়েল রানা, নুসরাত জাহান লস্কর, কে এম সায়েম, মোহাম্মদ নাজমুল হাসান আকন্দ, জি এম রাব্বুল হাসান, কৌশিক বিশ্বাস, মো. মাসুদ রানা, সুমন চন্দ্র সাহা, মো. মাসুম প্রামানিক, জুয়েল রানা, মো. রায়হান মিয়া, আমজাদ হোসেন, পি এম আশিকুর রহমান, এস এম রাফসান জনি প্রধান, আবদুর রব আখন্দ, মো. সাকিব, হাবিবুর রহমান, মো. আবুল হাসান, মো. ওয়াহিদুল ইসলাম মুরাদ, আফতাব হোসেন, সুশান্ত কুমার চৌধুরী, সাজেদা সুলতানা, সাদি রহমান, মো. আলসান শারিয়া, আবদুল্লাহ আল ফয়সাল, ফারজুক আহমেদ, আসলাম মিয়া ও আরিফ হোসেন।
নারী বিভাগে বিজয়ী- সুচনা আক্তার, নাহিদ আক্তার, উম্মে হাবিবা নাজনীন, জান্নাতুল ফেরদৌস ও সাবিনা আক্তার।
জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষ ১০ জন বিজয়ী- মো. শাকিল হোসেন, মো. সেলিম রেজা বাবুল, মঈন উদ্দিন আহমেদ, মো. সোহেল রানা, মনিরুল ইসলাম, কে এইচ মুসফিকুর রহমান মেমো, রোকন সরকার, ফয়সাল আহমেদ, মো. সাইফুল্লাহ বিন আশরাফ ও দেবতোষ দে। এবং বিশেষভাবে সক্ষম ক্যাটাগরিতে বিজয়ী একজন হচ্ছেন অনিক মাহমুদ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম