রাজবাড়ী: মোবাইলের সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যের নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করে অপরাধী চক্রের কাছে বিক্রি করতেন তারা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি দল গত ৫ ডিসেম্বর জেলা সদর থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহকারী কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা গতকাল শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া এলাকার মুন্না মণ্ডল ও জেলা শহরের নিউ কলোনি এলাকার মো. রবিউল খান ওরফে আলিফ।
এ বিষয়ে সুরঞ্জনা সাহা বলেন, ঢাকার ভাটারা থানায় দায়েরকৃত একটি বিকাশ প্রতারণা সংক্রান্ত মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ জানতে পারে যে, বিকাশ প্রতারকরা রাজবাড়ীতে রেজিস্টেশনকৃত সিমকার্ড দিয়ে বিকাশে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। ওই মামলায় সাইবার ক্রাইম বিভাগ গত এপ্রিল মাসে জেলার সদর উপজেলার ভবদিয়া গ্রামের মো. জাহিদ খানকে গ্রেফতার করে। এরপর জাহিদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, জাহিদের দেওয়া তথ্য এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৫ ডিসেম্বর জেলার সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মুন্না মণ্ডলকে এবং জেলা শহরের নিউ কলোনি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আলিফকে গ্রেফতার করা হয়। মুন্না মোবাইল অপারেটর কোম্পানি এয়ারটেলে এবং আলিফ রবিতে ব্রান্ড প্রমোটর (বিপি) হিসেবে কাজ করত। তারা বিভিন্ন সময় কমদামে সিম বিক্রি করার নাম করে রাজবাড়ীর চর এলাকাগুলোতে ‘সিম মেলা’ বসাতো এবং সহজ সরল সাধারণ মানুষদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে কৌশলে একাধিক সিম রেজিস্ট্রেশন করে নিজেদের কাছে রেখে দিত। অনেক সময় আঙুলের ছাপ হচ্ছে না উল্লেখ করে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম তাদের নিজেদের কাছে রেখে দিত। পরবর্তীতে সিমগুলো তারা বিভিন্ন প্রতারক চক্রের সদস্যদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করত।
পুলিশের সহকারী কমিশনার আরও বলেন, মুন্না ও আলিফর কাছ থেকে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা প্রি-অ্যাকটিভ কয়েকটি সিম উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তথ্যগুলো যাচাই করে এই অপরাধী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।