স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতা অর্জন করেছি: প্রধানমন্ত্রী
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৪৪
ঢাকা: আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, কিন্তু কখনো যদি কোনো বহিঃশত্রু দ্বারা আক্রান্ত হই তাহলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতাও আমরা অর্জন করেছি। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ‘রাষ্ট্রপতি প্যারেড-২০২১’-এ গণভবন থেকে চট্টগ্রাম প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
এসময় স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলার লক্ষ্য বিভিন্ন দিক উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই প্রাজ্ঞ, কালজয়ী এবং দূরদর্শিসম্পন্ন দিক নির্দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব এবং কর্মদক্ষতার সঙ্গে আজ দেশেরে আভ্যন্তরে এবং বহির্বিশ্বে তাদের অবদান রেখে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেন আমাদের প্রতিরক্ষা নীতি। আর তারই আলোকে আমরা প্রণয়ন করেছি ফোর্সেস গোল-২০৩০ এবং তা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমাদের সেনাবাহিনীকে আমরা একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলছি।
সেনাবাহিনীতে নতুন নতুন পদাতিক ডিভিশন, বিগ্রেড, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিকে একটি অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের একাডেমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের ক্যাডেটরা যাতে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা পায় এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সেই ধরনের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল এই মিলিটারি একোডেমি একসময় সারাবিশ্বে নজর কাড়বে, আজকে আমাদের মিলিটারি একাডেমি সেই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।
এসময় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির জন্য একটা তিন বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে কমিশনপ্রাপ্ত সকল নবীন অফিসারদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আজকের দিনটি তাদের জীবনে এক আনন্দের এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন বলেও অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী নবীন অফিসারদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়েই নবীন ক্যাডেটদের হাতে দায়িত্ব পড়ল যে তোমরা দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। এই দায়িত্ব পালনের সবসময় সজাগ থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে একমাত্র পেশাগত ব্রত। সেই সঙ্গে এদেশের সন্তান হিসেবে এদেশের মানুষের পাশে থাকতে হবে। জনগণের সকল প্রয়োজনে তোমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখ হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা দেখিয়ে আমাদের সেনাবাহিনীর সকল মহলে প্রশংসা অর্জনে করেছে। আমি যখন বিদেশে যাই, সকলে যখন প্রশংসা করে গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়। এই সুনাম ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। জাতির পিতা আমাদের যে পররাষ্ট্রনীতি দিয়েছেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতিতেই বিশ্বাস করি। কিন্তু কখনো যদি আমরা কোন বহিঃশত্রু দ্বারা আক্রান্ত হই, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতাও আমরা ইতোমধ্যে অর্জন করেছি।
সারাবাংলা/এনআর/আইই