Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের হেফাজতে আসামিকে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:০২

সাতক্ষীরা: জেলায় ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা আসামি বাবুল সরদারকে (৫৬) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের দাবি, আসামি বাবুল সরদার গোয়েন্দা পুলিশের লকআপের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের এক এএসআইসহ দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন আলম চৌধুরী দাবি করেন, বাবুল সরদার নামের ওই ব্যক্তিকে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে তার গ্রামের বাড়ি দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া বাবুল সরদারকে গোয়েন্দা পুলিশের লকআপে রেখে দেওয়া হয়। রোববার তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শনিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় সে গলায় নিজের কোমরে ব্যবহৃত নাইলনের মোটা সুতা দিয়ে লকআপের গেটের গ্রিলের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।

বাবুল সরদারের মেয়ে সুলতানা মুন্নি অভিযোগ করে জানান, শনিবার সকালে বোরখা পরা এক নারী হঠাৎ তাদের বাড়িতে ঢুকে তার বাবার ঘরে গিয়ে ফেনসিডিল রেখে একটু দূরে অবস্থান করা গোয়েন্দা পুলিশকে ইশারা করে। সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে ওই ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার দেখানো হয়। এসময় ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ হাজার টাকাও নিয়ে যায় তারা।

মুন্নি বলেন, আমার বাবা কোমরে কখনও সুতালি (রশি) পর্যন্ত ব্যবহার করতেন না। তাহলে তিনি কিভাবে লকআপের মধ্যে আত্মহত্যা করলেন?

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গেটের গ্রিলের সঙ্গে নিজেকে সুতালিতে ঝুলিয়ে কি কখনও আত্মহত্যা করা সম্ভব? পুলিশ তাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

বাবুল সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন জানান, তার বাবাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। এসময় বাড়িতে থাকা ৩৫ হাজার টাকাও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা নিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, পুলিশ আমার বাবাকে মারধর করেছে এবং এক পর্যায়ে তিনি মারা গেছেন। এখন পুলিশ বলছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ আমাদের বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছে, আপনাদের লোক আত্মহত্যা করেছে। লাশ নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি নিজের কোমরে থাকা নাইলনের সুতা পেঁচিয়ে লকআপের গেটের গ্রিলে ঝুলে রাত ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে যে কোন এক সময় আত্মহত্যা করেছে। পরে ম্যাজিস্ট্রেট আকতার হোসেন ও মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমারের উপস্থিতিতে লাশ নামিয়ে ময়নাতদন্ত করার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির কারণে পুলিশের এএসআই সোহেল শেখ ও কনস্টেবল শরিফুলসহ দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এসএসএ

টপ নিউজ পুলিশের হেফাজতে আসামিকে হত্যা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর