Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:০২

নারায়ণগঞ্জ: চাকরি দেওয়ার নাম করে ডেকে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহ আলম (২১) নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার তরুণী মামলা দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ৭ ডিসেম্বর ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। ধর্ষণের পর তাকে আটকে রাখা হয়। পরে তিনি কৌশলে পালিয়ে এসে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে তিনি বাদী হয়ে শাহ আলমের নামে মামলা করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অভিযুক্ত আসামি শাহ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, আট মাস আগে শাহ আলমের সঙ্গে তার পরিচয় হয় তার কর্মস্থল শনির আখড়া এলাকায়। তাকে নতুন চাকরি দেওয়ার নাম করে শাহ আলম তার কাছ থেকে এসএসসি সার্টিফিকেটের কপি নেন। এরপর তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন কোনো যোগাযোগ হয়নি। সপ্তাহ খানেক আগে শাহ আলম ফোন করে জানান, তার কাছে ওই তরুণীর এসএসসি সার্টিফিকেটের কপি রয়েছে। এসময় ওই তরুণী জানান, তার এসএসসির সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে। কপিগুলো পেলে তার উপকার হবে।

অভিযোগে বলা হয়, এসময় শাহ আলম তাকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কপিগুলো নিয়ে যেতে বলেন। এই উদ্দেশ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নিজের কর্মস্থল থেকে কাজ শেষ করে রাত ১০টার দিকে চিটাগাং রোডে শাহ আলমের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। পরে শাহ আলম তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় যেতে বলেন। সেখানে গেলে শাহ আলম তাকে কৌশলে মিজমিজি এলাকায় আব্দুর রশীদ মিয়ার বাড়ির উত্তর দিকের ফাঁকা এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেন।

পরে ওই তরুণী সেখান থেকে পালিয়ে এসে শনিবার রাতে ধর্ষণের ঘটনা সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রোববার সকালে মামলা গ্রহণ করে। এরপর থেকেই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকার র‌্যাব সদর দফতরের বিপরীত পাশের এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মির্জা শহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে শাহ আলম নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামির বাবার নাম আলম মিয়া। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরের দরবারপুর গ্রামে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান জানান, ওই তরুণীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত তরুণকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, ধর্ষণের শিকার তরুণীকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন। ভুক্তভোগী তরুণীকে আইনি লড়াইয়েও সহায়তার জন্য ফাউন্ডেশনটি কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র আইনজীবী নাহিদ শামস্।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ। আসামি গ্রেফতারের পর এখন সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার আশা করছি। এছাড়াও বাদী যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন এবং বাদীর নিরপত্তায় যেন প্রশাসন সচেষ্ট থাকে, সেটিই আমাদের কাম্য।

সারাবাংলা/টিআর

চাকরির প্রলোভন ধর্ষণ মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর